এমন অদ্ভুত ভাবে ঘরকেই গ্যাস চেম্বার তৈরি করে আত্মহত্যার ঘটনায় পুলিশই হতবাক। ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোটও। পুলিশ জানিয়েছে, ঘরের সমস্তা জানালা, দরজা, ভেন্টিলেটর প্লাস্টিক দিয়ে আটকানো ছিল। রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের নব খোলা রাখা ছিল এবং কয়লা দিয়ে জ্বলে এমন একটি রান্নার সরঞ্জাম জ্বালিয়ে রাখা ছিল। ফলে ঘরে বিষাক্ত কার্বন-ডাই-অক্সাইড ভরে গিয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: রেললাইনের উপর উদ্ধার শিক্ষকের মৃতদেহ! আত্মহত্যা না দুর্ঘটনা? দানা বাঁধছে রহস্য
ওই ঘরেই দম বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে মা ও দুই মেয়ের। একই ঘর থেকে তিনজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। পাশেই কয়লা জ্বালানো ছিল। সুইসাইড নোটে লেখা ছিল, দয়া করে ঘরে ঢুকে কেউ দেশলাই জ্বালবেন না। এতে আগুন লেগে যেতে পারে। এমন হাড়হিম করা ঘটনায় গোটা রাজধানীতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নোটে আরও লেখা ছিল, 'খুবই বিষাক্ত গ্যাস... ভিতরে ভর্তি কার্বন মনোক্সাইড। এটা দাহ্য। ঘরে ঢুেক জানালা খুলে এবং ফ্যান চালাবেন।'
আরও পড়ুন: বোল্ড অ্যান্ড বিউটিফুল! এষার শরীরী বিভঙ্গে কুপোকাত ভক্তরা, দেখুন
পুলিশের দাবি, নোটে নির্দেশ ছিল দেশলাই বা মোমবাতি না জ্বালানোর। পরদা খোলার সময়ও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছিল, কারণ ঘর ভর্তি বিষাক্ত গ্যাস। গোটাটাই ইংরেজিতে লেখা ছিল। মৃতদের নাম মঞ্জু ও তাঁর দুই মেয়ে অংশিকা-অঙ্কু। পরিচারিকা ও প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, গত বছর করোনায় স্বামীর মৃত্যু হয়। সেই থেকেই অবসাদে ছিল গোটা পরিবার। স্ত্রীও শয্যাশায়ী হয়েছিলেন বহুদিন। সেই থেকেই এমন সিদ্ধান্ত কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।