আসলে দেশের এক রাজ্য থেকে আর এক রাজ্যে কম সময়ে পৌঁছে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন এক্সপ্রেসওয়ে। সেরকমই এবার তৈরি হতে চলেছে বারাণসী এক্সপ্রেসওয়ে। আধিকারিকরা এই এক্সপ্রেসওয়ের অনুমোদন দিয়েছেন। এর জন্য ব্যয় হবে প্রায় ৩০০০ কোটি টাকা। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ৩ বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালের মধ্যেই এই এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি হয়ে যাবে বলে আশা।
advertisement
আরও পড়ুন– আজ থেকে করা যাবে টিকিট বুকিং, ২০ মে যাত্রা শুরু হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের
কলকাতা-বারাণসী এক্সপ্রেসওয়ের রুটের অন্তর্গত শহরগুলির মধ্যে অন্যতম হল মোহানিয়া, রোহতাস, সাসারাম, ঔরঙ্গাবাদ, গয়া, চাতরা, হাজারিবাগ, রাঁচি, বোকারো, ধানবাদ, রামগড়, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি এবং হাওড়া। শুধু তা-ই নয়, এই এক্সপ্রেসওয়েটি বিভিন্ন হাইওয়ের মাধ্যমে মূল শহরগুলির মধ্যে সংযোগ গড়ে তুলবে। যার ফলে সময় তো বাঁচবেই, সেই সঙ্গে কমবে খরচও। এই কারণেই স্থলপথে দিল্লি থেকে কলকাতা পৌঁছতে সময় লাগবে মাত্র ১৭ ঘণ্টা। অর্থাৎ দিল্লি থেকে সন্ধ্যায় বেরোলে পর দিন দুপুরের আগেই ঢুকে পড়া যাবে কলকাতায়। এখানেই শেষ নয়, এই গ্রিনফিল্ড এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে বারাণসী থেকে কলকাতা পৌঁছনো যাবে মাত্র ১০ ঘণ্টায়।
ইতিমধ্যেই প্রাথমিক স্তরে জমির সীমানা চিহ্নিত করা হয়ে গিয়েছে বলে খবর। তবে এখনও পর্যন্ত প্রকল্পের সবিস্তার রিপোর্ট আসেনি। বারাণসী-কলকাতা এক্সপ্রেসওয়ে শুরু হবে চন্দৌলি জেলার বারাণসী রিং রোড থেকে। আর তা এসে মিলবে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়ার কাছে জাতীয় সড়ক-১৬-র কাছে এসে। বর্তমানে বারাণসী এবং কলকাতা যাতায়াতের জন্য সবথেকে বেশি ব্যবহার হয় জাতীয় সড়ক-১৯।
প্রসঙ্গত দিল্লি থেকে বারাণসী পর্যন্ত সফরের কথাই ধরা যাক। এই দূরত্ব যেতে সময় লাগছে মাত্র ১০ ঘণ্টা। আর তা সম্ভব হয়েছে পূর্বাচল, লখনউ-আগ্রা এবং যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের জন্য। এবার কলকাতা-বারাণসী এক্সপ্রেসওয়ে হলে সুবিধা পাবেন দিল্লি-কলকাতায় যাতায়াতকারীরা। এই প্রস্তাবিত এক্সপ্রেসওয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসেই।