প্রধান বিচারপতি বললেন, পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর যে বাড়ির ভিতরেও মাস্ক পরে থাকতে হচ্ছে। এটা চলতে পারে না। দিল্লিতে দূষণের স্তর জরুরি অবস্থা তৈরি করেছে। সব সরকারকে আদালতের এটাই পরামর্শ যে, রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে কাজ করুন। পঞ্জাব ও হরিয়ানা রাজ্যের সঙ্গে কথা বলে ফসলের অবশিষ্ট অংশ পোড়ানো বন্ধ করুক কেন্দ্র। আগামী দু-তিন দিনের মধ্যেই ব্যবস্থা নিক কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, দিল্লিতে দূষণের প্রধান কারণ বাজি, গাড়ি, ধুলো, ধোঁয়া, ইত্যাদি। আংশিক কারণ আশেপাশের রাজ্যে ফসলের অবশিষ্ট অংশ পোড়ানো। এই দূষণ যেভাবেই হোক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রয়োজনে দু-দিনের জন্য লকডাউনের কথা ভাবুন।
advertisement
আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রীকে বিশেষ উপহারে মুগ্ধ করলেন বাংলার তাঁতশিল্পী বীরেন কুমার বসাক
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আইনজীবী ছিলেন সলিসিটর জেনরেল তু্ষার মেহতা। আদালতের প্রশ্নবাণে কার্যত বিদ্ধ হতে হয়েছে তাঁকে। দূষণ পরিস্থিতি মারাত্মক আকার নেওয়ায় প্রয়োজনে দু-দিনের লকডাউন-সহ একগুচ্ছ পরামর্শ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে দূষণ সমস্যা সমাধানে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ জন্য দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা ও পাঞ্জাব সরকারের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে।
আরও পড়ুন- মাস্ক না পরলেই ধরছে 'নকল' পুলিশ! খাস কলকাতায় চলছে নতুন কায়দায় জোচ্চুরি
শুধু তাই নয়, দিল্লিতে স্কুল খুলেছে। শিশুরা স্কুলে যেতে বাধ্য হচ্ছে। এ নিয়েও দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছে আদালত। বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বলা হয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারকে। সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে নিয়ে আপৎকালীন বৈঠক করার নির্দেশ দেওয়া হল। পরবর্তী শুনানি সোমবার।
RAJIB CHAKRABORTY