পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিবাদ সংঘর্ষের রূপ নেওয়ার পরই গ্রেফতার করা হয়। ঘটনায় একাধিক পুলিশ কর্তা আহত হয়েছেন বলেও অভিযোগ। দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মচারীদের উপর হামলার অভিযোগে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেই পুলিশের দাবি। কর্তব্যপথ থানা এবং পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানায় দুটি আলাদা আলাদা এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
advertisement
প্রসঙ্গত, দিল্লি কোঅর্ডিনেশন কমিটি ফর ক্লিন এয়ার দ্বারা রাজধানীর ক্রমবর্ধমান বায়ুর গুণমান হাইলাইট করার জন্য প্রতিবাদটি আয়োজিত হয়েছিল। এই গোষ্ঠীটির দাবি যে দিল্লির বায়ু দূষমের মাত্রা চরমে পৌঁছেছে। বায়ু দূষণের মাত্রা কমানোর ক্ষেত্রে সরকারি প্রকল্প গুলির নিন্দা করেছে প্রতিবাদকারীরা। তাদের দাবি, দূষণ কমানোর ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের কোনও চেষ্টাই করা হয়নি। অভিযোগ, কিছু প্রতিবাদকারীকে “লং লিভ হিদমা” (“হিদমা অমর রহে”) স্লোগান দিতে শোনা গিয়েছে।
মাদভি হিদমা ছিলেন ভারতের অন্যতম কুখ্যাত মাওবাদী নেতা, যিনি ১৮ নভেম্বর অন্ধ্র প্রদেশের আল্লুরি সীতারামারাজু জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে নিহত হন। তিনি ১ কোটি টাকার পুরস্কার অর্জন করেছিলেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআই পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে যে বিক্ষোভকারীরা সি-হেক্সাগন স্ট্রেচের কাছে জড়ো হয়েছিল এবং তাদের উপস্থিতি অ্যাম্বুলেন্স এবং চিকিৎসা কর্মীদের জন্য রুট ব্লক করছিল বলে বারবার সরানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
পুলিশের দাবি, তারা প্রতিবাদকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন প্রতিবাদের কারণে জরুরি যানবাহন আটকে পড়ছে। পুলিশের দাবি তা সত্ত্বেও রাস্তা ছাড়তে রাজি হয়নি প্রতিবাদকারীরা। পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যায় যখন বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে রাস্তায় চলে যায় এবং বসে পড়ে, পুলিশ তাদের অপসারণের চেষ্টা করে। এরপরেই পুলিশ এবং প্রতিবাদকারীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশের অভিযোগ এই পরিস্থিতিতে বিক্ষোভকারীরা লঙ্কার গুঁড়ো ব্যবহার করেন পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে।
