এই সিদ্ধান্তের ফলে গুরুগ্রাম, গাজিয়াবাদ, ফরিদাবাদ ও নয়ডা থেকে প্রতিদিন দিল্লিতে ঢোকা প্রায় ১২ লক্ষ গাড়ি প্রভাবিত হতে পারে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নয়ডা থেকে প্রায় ৪ লক্ষ, গুরুগ্রাম থেকে ২ লক্ষ এবং গাজিয়াবাদ থেকে প্রায় ৫.৫ লক্ষ গাড়ি দিল্লিতে প্রবেশে বাধার মুখে পড়বে।
আরও পড়ুনঃ মধ্যরাতে আগুনে আতঙ্ক, দাউ দাউ করে জ্বলল অক্সিজেন সিলিন্ডারের গোডাউন! ঘটনাস্থলে দমকলের ২০ ইঞ্জিন
advertisement
ইতিমধ্যেই দিল্লির বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পে অটোমেটিক নাম্বার প্লেট রিকগনিশন (ANPR) ক্যামেরা বসানো হয়েছে, যার মাধ্যমে বৈধ PUC না থাকা গাড়ি শনাক্ত করা হবে। দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী মনজিন্দর সিং সিরসা মঙ্গলবার এই ব্যবস্থা ঘোষণা করেন। জানানো হয়েছে, রাজধানীতে GRAP Stage IV কার্যকর থাকা পর্যন্ত এই নিয়ম বহাল থাকবে।
প্রতি শীতেই দিল্লি ভয়াবহ স্মগ ও বায়ুদূষণের কবলে পড়ে। তাপমাত্রা কমলে বাতাসে থাকা দূষণকারী কণা নিচের স্তরে আটকে যায়, ফলে দ্রুত বায়ুর মানের অবনতি ঘটে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘন যান চলাচলযুক্ত এলাকায় মোট দূষণের প্রায় ৪০ শতাংশের জন্য যানবাহনই দায়ী। তাই চরম দূষণের সময় উচ্চ নির্গমনকারী গাড়ির চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।
নিয়ম কার্যকরে মাঠে নামছে প্রশাসন। ৫৮০ জন পুলিশকর্মী, ৩৭টি এনফোর্সমেন্ট ভ্যান এবং ১২৬টি চেকপোস্টে নজরদারি চালানো হবে। পাশাপাশি পেট্রোল পাম্পে পরিবহণ দফতর, পুরসভা ও খাদ্য দফতরের দল মোতায়েন থাকবে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দিল্লির একাধিক এলাকায় ঘন ধোঁয়াশা দেখা যায়। সিপিসিবির ‘Sameer’ অ্যাপ অনুযায়ী, সকাল ৬টায় দিল্লির গড় AQI ছিল ৩৫৬, যা ‘খুব খারাপ’ শ্রেণিতে পড়ে। আনন্দ বিহারে AQI ছিল সর্বোচ্চ ৪১৫ (Severe)। এছাড়াও বিবেক বিহার, জাহাঙ্গিরপুরী, রোহিণী, আইটিও, মুন্ডকা ও অশোক বিহার এলাকাতেও বায়ু মান অত্যন্ত খারাপ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
এছাড়া, যান চলাচল কমাতে দিল্লির বেসরকারি অফিসগুলিকে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।
