গতকাল বিকেলেই দিল্লির গাজিপুরে একটি নির্জন এলাকায় পরিত্যক্ত একটি স্যুটকেস পড়ে থাকার খবর পায় পুলিশ৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্যুটকেসের ভিতর থেকে এক মহিলার দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়৷ সঙ্গে সঙ্গেই খুন এবং প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে দিল্লি পুলিশ৷ রহস্যের কিনারা করতে একাধিক দলও গঠন করা হয়৷
আরও পড়ুন: সঞ্জয় রাইয়ের ফাঁসি চায় না নির্যাতিতার পরিবার! আরজি কর কাণ্ডে হাইকোর্টে যা ঘটল, শুনে চমকে যাচ্ছে সকলে
advertisement
প্রাথমিক ভাবে পুলিশের কাছে এই মামলায় কোনও সূত্র ছিল না৷ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শেষ প্রথমে একটি চার চাকার গাড়িকে চিহ্নিত করেন তদন্তকারীরা৷ মহিলার দেহ উদ্ধারের কয়েক ঘণ্টা আগে ওই গাড়িটি ঘটনাস্থলে দেখা গিয়েছিল৷ গাড়ির নম্বরের সূত্র ধরে লোনি এলাকার বাসিন্দার খোঁজ পায় পুলিশ৷ কিন্তু তিনি জানান, ওই গাড়িটি তিনি অমিত তিওয়ারি নামে এক ব্যক্তিকে বেচে দিয়েছিলেন৷
এর পরেই খোঁজ করে ২২ বছর বয়সি এই অমিত তিওয়ারিকে হেফাজতে নেয় পুলিশ৷ গাজিয়াবাদের বাসিন্দা অমিত ক্যাব চালক হিসেবে কাজ করতেন৷ গাজিয়াবাদেরই বাসিন্দা অমিতের বন্ধু অনুজ যাদবকেও হেফাজতে নেয় পুলিশ৷ কারণ, অনুজকেও সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছিল৷
জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে অমিত ওই দগ্ধ মৃতদেহটি তার এক সম্পর্কিত বোন শিল্পা পাণ্ডের বলে শনাক্ত করে৷ অমিত জানায়, শিল্পার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল৷ এক বছর ধরে তাঁরা লিভ ইন সম্পর্কেও ছিল৷ শিল্পা তাঁকে বিয়ের জন্য চাপ দিলেও এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছিল অমিত৷ সে দাবি করে, শিল্পা তাকে পরিবারের থেকে আলাদা হয়ে পাকাপাকি ভাবে লিভ ইন সম্পর্কে থাকার জন্য চাপ দিচ্ছিল৷ তা না হলে অমিত এবং তার পরিবারকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকিও দিচ্ছিল শিল্পা৷
শনিবার রাতে অমিতের সঙ্গে শিল্পার ফের বচসা হয়৷ মদ্যপ অবস্থায় অমিত গলা টিপে শিল্পাকে খুন করে৷ শিল্পার দেহ একটি স্যুটকেসে ভরে সেটি লোপাটের জন্য নিজের বন্ধু অনুজকে ডাকে সে৷ এর পর গাড়িতে করে স্যুটকেসটি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে দু জন৷ একটি পেট্রোল পাম্প থেকে ১৬০ টাকার ডিজেল কেনে তারা৷ পরিত্যক্ত একটি এলাকায় এসে স্যুটকেসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় দু জনে৷ অভিযুক্ত অমিত এবং অনুজকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ জানা গিয়েছে, শিল্পার পরিবার গুজরাতের সুরাতে থাকে৷