শ্রীলঙ্কাকে আর্থিক অনুদানের কথা প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, শ্রীলঙ্কা আমাদের প্রতিবেশী দেশের অগ্রাধিকার নীতির মধ্যে পড়ে, এই চিন্তাভাবনাকে ভরকেন্দ্র করে চলতি বছরে অপ্রত্যাশিতভাবে ভারত দ্বীপরাষ্ট্রটিকে ৩৮০ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা দিয়েছে,, যাতে তারা চলতি আর্থিক পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারে (Delhi On Srilanka Crisis)।"
আরও পড়ুন : অমরনাথে এখনও আটকে রাজ্যের ৭২ জন বাসিন্দা, জলপাইগুড়িরই ২২ জন! জানাল নবান্ন
advertisement
এদিকে শ্রীলঙ্কার বর্তমান পরিস্থিতির প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করে সেখানকার মানুষকে সমবেদনা জানিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি। শ্রীলঙ্কাকে সাহায্যের জন্য আন্তর্জাতিক মহলের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার হাজারে হাজারে বিক্ষোভকারী হামলা চালালেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোটাবায়া রাজাপক্ষের সরকারি বাসভবনে। জোর করে রাষ্ট্রপতির বাড়িতে ঢুকে পড়ার পরে বিক্ষোভকারীদের রাষ্ট্রপতির বাড়ির পুলে সাঁতার কাটতেও দেখা গিয়েছে। পুলে নেমে দেশের জাতীয় পতাকা নেড়ে বিক্ষোভকারীদের ভিড় করতে দেখা যায়। রাষ্ট্রপতির বাসভবনের রান্নাঘরও দখল করে নেয় বিক্ষোভকারীরা। সেখানে সকলে মিলে গ্যাস চালিয়ে রান্নাও করতে দেখা গিয়েছে তাঁদের (Delhi On Srilanka Crisis)।
আরও পড়ুন : উত্তর খুঁজতে নাজেহাল ৯০ শতাংশ মানুষ! বলুন তো মানুষ কত দিন না ঘুমিয়ে থাকতে পারে?
এক শীর্ষ সরকারি সূত্রের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, পরিস্থিতি “নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে” এমনটাই জানিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। আর তার পরেই গত রাতে গোটাবায়া রাজাপক্ষকে সেনার সদর দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। শ্রীলঙ্কার পডুজানা পেরামুনা (SLPP) সংসদের ষোলজন সদস্য অবিলম্বে রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগ করার অনুরোধ করেছেন।
সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। শ্রীলঙ্কার পতাকা নিয়ে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রবিবার সকালে রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন ঘেরাও করে, পুলিশ শূন্যে গুলি চালিয়েও তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে ব্যর্থ হয়। বিরোধী দল, মানবাধিকার কর্মী এবং বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনি চ্যালেঞ্জের পরে পুলিশ কারফিউ প্রত্যাহার করার পরেই এই বিক্ষোভ।