শ্রদ্ধা এবং আফতাবের প্রেমের সম্পর্ক কোনওভাবেই মেনে নেয়নি শ্রদ্ধার বাবা। শেষে নিজের বাবাকে ছেড়ে অফতাবের সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকতে শুরু করেন শ্রদ্ধা। পুলিশি জেরায় অফতাব জানিয়েছে, মাঝে মধ্য়ে তাদের ঝগড় হত। গত ১৮ মে সেই ঝগড়া প্রবল আকার নেয়। শ্রদ্ধার বুকের উপর বসে শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করে আফতাব। তারপরে গুগল করে দেহ কীভাবে লোপাট করতে হবে, তা জানার চেষ্টা করে সে।
advertisement
জানা গিয়েছে, এর পরে শ্রদ্ধার দেহের মোট ৩৫টি টুকরো করে অফতাব। সেই দেহাংশগুলি যাতে পচে না যায়, তার জন্য় ৩০০ লিটারের একটি ফ্রিজ জোগাড় করে এনেছিল আফতাব। এমনকী বাড়িতে রক্তের দাগ সরানোর জন্য় বিশেষ প্রকার রাসায়ানিকের ব্যবহারও করেছিল সে।
আরও পড়ুন, সেনার উপর হামলা করে অবশেষে স্বীকার, সামনে এল এই জঙ্গি সংগঠনের নাম
জেরায় আফতাব জানিয়েছে, মোট ১৮ দিন ধরে সেই দেহাংশগুলি বিভিন্ন জায়গায় ফেলে আসত সে। এরই মাঝে অন্য গার্লফ্রেন্ডকেও নিয়ে সেই বাড়িতে এসেছিল আফতাব। সেই সময়ে দেহের টুকরোগুলো ফ্রিজে ছিল অফতাবের। কিন্তু কাউকে সে বুঝতে দেয়নি।
আরও পড়ুন, 'আমরাও টাকা বন্ধ করতে পারি!' ঝাড়গ্রামের সভা থেকে কেন্দ্রকে পাল্টা হুঁশিয়ারি মমতার
কেউ যাতে সন্দেহ না করে, তার জন্য় শ্রদ্ধার ইনস্টাগ্রাম ব্য়বহার করত আফতাব। কিন্তু প্রায় দু মাস ধরে শ্রদ্ধার ফোন সুইচ অফ থাকায় সন্দেহ হয় কয়েকজন বন্ধুর। তাঁরাই শ্রদ্ধার বাবাকে খবর দেন। শেষে শ্রদ্ধার বাবা পুলিশের কাছে মিসিং ডায়েরি করেন। সেই মামলায় আফতাবকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপরেই গোটা বিষয়টি সামনে আসে।