এই নির্বাচন আম আদমি পার্টি এবং বিজেপির কাছে অগ্নিপরীক্ষা। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, দিল্লি পুরনিগমে যোগ্য ভোটারের সংখ্যা ১ কোটি ৪৫ লাখ ৫ হাজার ৩৫৮। মোট ১৩৪৯ জন প্রার্থী এই ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
আরও পড়ুন: দাবাং স্টাইলে পুরুলিয়া ফিরলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়
কী বলছে এক্সিট পোল? আজ তক-এর বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে, দিল্লিতে আম আদমি পার্টি পেতে পারে, ১৪৯-১৭১ আসন। টাইমস নাও-এর সমীক্ষা বলছে, আপ-এর ঝুলিতে যেতে পারে ১৪৬ থেকে ১৫৬ আসন। আজ তক এদিকে বিজেপি-কে দিয়েছে ৬৯-৯১ আসন, টাইমস নাও-এর বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে, দিল্লি পুরনিগমে বিজেপি পেতে পারে ৮৪-৯৪ আসন, অন্যদিকে, নিউজ X -এর বুথ ফেরত সমীক্ষায় আপ পেতে পারে ১৫৯-১৭৫ আসন আর বিজেপি পেচে পারে ৭০-৯২ আসন। প্রায় সব সমীক্ষাতেই কংগ্রেসকে দেওয়া হয়েছে কমবেশি ১০টি করে আসন। অন্যান্যরা পেতে পারে ৫-৯ আসন।
advertisement
আরও পড়ুন: ভিনরাজ্যের গাড়িতে বান্ডিল-বান্ডিল টাকা, জলপাইগুড়ির ঘটনায় বিস্ফোরক দাবি মমতার
জাতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে পুরনিগমের নির্বাচন ততটাও গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে দিল্লি পুরনিগমের নির্বাচনের বিষয়টি আলাদা। রাজধানীর রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি নির্ধারণ করে পুরনিগমের ভোট। টানা দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বড় ব্যবধানে জয়ী হয়ে এসেছে আম আদমি পার্টি। তবে এর আগে দিল্লির তিনটি পুরনিগমেই মেয়র ছিল বিজেপির। এই আবহে অবিভক্ত পুরনিগম মিজেদের দখলে রাখতে মরিয়া ছিল বিজেপি। প্রসঙ্গত, দিল্লিবাসীর নিত্য দিনের সমস্যা মেটানো এবং পরিষেবা প্রদানের দায়িত্বে আছে এই পুরনিগমই। এই আবহে পুরনিগমের নির্বাচনকে বিধানসভা নির্বাচনের সেমিফাইনাল হিসেবে দেখতে শুরু করেছে বিজেপি এবং আম আদমি পার্টি দুই দলই। আর এই কারণেই দুই শিবিরই কোমর বেঁধে এই পুরনিগম নির্বাচনের প্রচারে নেমেছিল। কিন্তু বুথ ফেরত সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, আম আদমি পার্টির জয়জয়কার হতে চলেছে দিল্লি পুরনিগমে।