দিল্লির মেয়র নির্বাচনে এদিন ভোট দেন ২৬৬ জন নির্বাচিত কাউন্সিলর। তার মধ্যে ১৫০টি ভোট পেয়ে জয় লাভ করেন আম আদমি পার্টির মেয়র প্রার্থী শেলি ওবেরয়। বিজেপির রেখা গুপ্তাকে ৩৪ ভোটে পরাজিত করেন তিনি। রেখার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ছিল ১১৬।
শেলির জয় নিশ্চিত হওয়ার সাথে সাথেই ট্যুইট করেন দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। লেখেন, "গুন্ডারা হেরে গেছে। আম আদমি পার্টির প্রত্যেক সদস্যকে আমার শুভেচ্ছা। কারণ দিল্লি পুরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আমাদের প্রার্থী। আম আদমি পার্টির প্রথম মেয়র শেলি ওবেরয়কে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।"
advertisement
আরও পড়ুন: ফের ভাইরাস-আতঙ্ক! জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট! এক্কেবারে করোনার মতো, বাচ্চাদের সামলে..
অন্যদিকে, ছোট্ট ট্যুইটে নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির মূখ্য আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরীওয়ালও। তিনি লেখেন, 'গুন্ডারা হেরেছে।'
দিল্লির পুর নির্বাচনে বিজেপির ১৫ বছরের রাজত্বে ইতি টেনে রমরমিয়ে জিতেছিল অরবিন্দ কেজরীওয়ালের পার্টি। কিন্তু তাতেও স্বস্তি মিলছিল না। নির্বাচনে জিতলেও সেই ঝুলেই ছিল দিল্লি পুরসভার মেয়র ও ডেপুটি মেয়র নির্বাচন প্রক্রিয়া। মূল সমস্যা ছিল দিল্লির উপরাজ্যপাল নির্বাচিত অল্ডারম্যান।
আরও পড়ুন: প্যাকেট খুলতেই পচা দুর্গন্ধ, মুখে তোলাই দায়! শিলিগুড়িতে মমতার সভায় বিরিয়ানি বিতর্ক
পুর নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও দিল্লি পুরসভার মেয়র নির্বাচনেরdelhi পদ্ধতিটা একটু জটিল। নিয়ম অনুযায়ী, পুর নির্বাচনের পরে ১০ জন অল্ডারম্যান নির্বাচিত করতে পারেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর। চলতি নির্বাচনের ক্ষেত্রেও, দিল্লির উপ রাজ্যপাল ভি কে সাক্সেনা ১০ জন অল্ডারম্যান মনোনীত করেছিলেন। কিন্তু, সমস্যা তৈরি হয়, যখন নির্বাচিত কাউন্সিলরদের আগেই এই মনোনীত সদস্যদের শপথগ্রহণ করানোর চেষ্টা করা হয়।
আপ দাবি করে, এই ভাবে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথগ্রহণের আগে মনোনীত প্রার্থীদের শপথগ্রহণ নিয়মবিরুদ্ধ। তাছাড়া, মেয়র নির্বাচনে মনোনীত সদস্যদের ভোটাধিকারের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেও শীর্ষ আদালতে আবেদন জানায় আপ। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা দিল্লির নির্বাচিত সরকারকে উপেক্ষা করে একতরফা ভাবে ১০ জন অল্ডারম্যান নিয়োগ করে মেয়র নির্বাচনে তাঁদের ভোটাধিকার দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করে তারা।
অবশেষে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দিল্লির এমসিডি-র মেয়র নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার রায় দিতে গিয়ে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, মনোনীত সদস্যদের ভোটাধিকার থাকা উচিত নয়। এরপরেই বদলে যাবতীয় যায় অঙ্ক।
অল্ডারম্যানদের ভোটাধিকার না থাকার ফলেই বিজেপির সংখ্যা নেমে আসে ১১৩-এ। অন্যদিকে, আপ-এর কাছে তো বিজয়ী ১৫০ কাউন্সিলরের সমর্থন ছিলই। দিল্লির মেয়র নির্বাচনে মেজরিটি মার্ক ছিল ১৩৮।