গোটা রাজধানী জুড়েই চূড়ান্ত সতর্কতা বা হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন শহরেও জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট।
জানা গিয়েছে, এই বিস্ফোরণের জেরে লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের কাছে আগুন ধরে যায় এবং মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পার্কিংয়ে থাকা আরও কয়েকটি গাড়িতে। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, অন্তত আট জনের মৃত্যু হয়েছে এবং একাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
advertisement
দমকল সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিট নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন। কয়েক মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিপুল। আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এই প্রসঙ্গে, সংবাদসংস্থা এএনআইকে এক ব্যবসায়ী জানান, ” আমি দোকানে বসে ছিলাম, হঠাৎ কান ফাটানো প্রবল বিস্ফোরণ হয়। আমি মাটিতে তিনবার পড়ে যাই”
প্রাথমিকভাবে বিস্ফোরণের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়, তবে নাশকতার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এনআইএ (NIA) ও এনএসজি (NSG)-এর দল। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরাও প্রমাণ সংগ্রহ শুরু করেছেন।
উল্লেখযোগ্যভাবে, এর মাত্র এক দিন আগে ফরিদাবাদে রিয়ানা ও কাশ্মীর পুলিশের যৌথ অভিযানে উদ্ধার হয়েছিল ৩৬০ কেজি বিস্ফোরক, বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র, ২০টি বোমার টাইমার, রিমোট ও ওয়াকিটকি। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের মতে, গত কয়েক দিনে দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে প্রায় ৩,০০০ কেজি বিস্ফোরক বাজেয়াপ্ত হয়েছে, যার সঙ্গে জইশ-ই-মহম্মদ ও আনসার ঘাজওয়াত-উল-হিন্দের মতো জঙ্গি সংগঠনের যোগ রয়েছে বলে ধারণা।
