এই একবিংশ শতকে এসেও আমরা ঠিক কতটা এগিয়েছি? স্মার্টফোন, স্মার্ট ওয়ালেটে স্বচ্ছন্দ স্মার্টি নাগরিকরা এয়ারপোর্ট বা রেলওয়ে স্টেশনে টয়লেটের পাশাপাশি স্মোকিং জোনের দাবিতে গলা ফাটিয়েছি। পেয়েওছি। কিন্তু বেবি ফিডিং জোনের ব্যাপারে কতটা গুরুত্ব দিয়েছি? আদৌ এ নিয়ে ভেবেছি কি? সরকারকে ভাবতে হবে। কারণ, এবার বল আদালতের কোর্টে। খাওয়ার জায়গার দাবিতে মামলা করেছে এক দুধের শিশুই।
advertisement
আরও পড়ুন ঘরে বসেই সহজ উপায়ে ক্যানসেল করুন ট্রেনের টিকিট, ফেরত পান টাকা
অভিজ্ঞান রাস্তোগি। কিছুদিন আগে যখন তার বয়স মাস নয়েক, দিল্লি থেকে মা বাবার সঙ্গে বেঙ্গালুরু যাওয়ার কথা। না দিল্লি এয়ারপোর্ট, না প্লেন, অভিজ্ঞানের মা নেহা প্রায় ঘণ্টা তিনেক ঘুরেও সন্তানকে স্তন্যপান করানোর কোনও জায়গা পাননি। তারপরেই দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
ঝাঁ চকচকে রেস্তোরাঁ না হোক। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন খাওয়ার জায়গা সবাই চান। শিশুদের খাওয়ার জন্য সাফসুতরো নির্দিষ্ট জায়গা কেন থাকবে না? জামা কাপড় বদলানোর জন্য আলাদা ওয়াশ রুমই বা কেন থাকবে না? প্রশ্ন তুলছেন অভিজ্ঞানের মা।
বড়রা বাড়ি থেকে খেয়ে বের হলেও রাস্তায় খিদে পায়। শিশুদেরও পাবে। সেটাই তো স্বাভাবিক। তাহলে তাদের খাওয়ানোর কোনও ব্যবস্থা কেন থাকবে না? এই স্বাভাবিক প্রশ্নটাই এবার উঠতে শুরু করেছে। শিশুদের জন্য স্তন্যপান অত্যন্ত জরুরি। সেই জরুরি কাজটি হবে কোথায়, সে ব্যবস্থা করার দাবি জোরালো হচ্ছে। দিল্লি হাইকোর্টে মামলা চলছে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে শুনানি হবে। সরকার শিশুদের খাওয়ার জায়গার কী ব্যবস্থা করবে, জানার অপেক্ষায় অভিজ্ঞানের মা বাবা। অভিজ্ঞান জানতে চায়, তাহলে কী ঠিক হল? খিদে পেলে খাব কোথায়?