ভারত রাষ্ট্র সমিতি বা বিআরএস নেত্রী কবিতাকে এর আগেও এই মামলায় গত বছরের ১২ ডিসেম্বর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।
এই মামলায় ইতিমধ্যেই দিল্লির প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। আদালতে জামিনের আর্জি জানিয়েও লাভ হয়নি। আগামী ২০ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে রয়েছেন তিনি।
এই মামলায় দক্ষিণী যোগাযোগ নিয়ে আগেই তদন্ত শুরু করেছিল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, দিল্লির আবগারি নীতির জন্যে দক্ষিণে (South Cartel) যাদের সুবিধা হয়েছিল, কবিতা তাঁদের মধ্যে অন্যতম।
advertisement
আরও পড়ুন: 'দিদির কবচে সুরক্ষিত মেয়েদের জীবন', নারী দিবসে বাড়ি বাড়ি শুভেচ্ছো বার্তা তৃণমূলের
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চন্দ্রশেখর কন্যা। একটি ট্যুইটে তিনি জানান, 'দেশের আইন মান্যকারী নাগরিক হিসাবে আমি তদন্তে সব রকমের সহায়তা করব। যদিও ওই দিন ধর্না এবং অন্যান্য পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় আইনি পরামর্শ দিতে পারি।'
এর পরেই কবিতার অভিযোগ, আগামী ১০ মার্চ মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে বিরোধীদের ধর্না কর্মসূচির ঠিক আগেই ইডির এই নোটিস যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন: খেয়াল করেছেন! বাজার থেকে কমে যাচ্ছে পুরনো ৫ টাকার কয়েন, কেন বলুন তো?
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের নভেম্বরে দিল্লি সরকারের আবগারি নীতির মাধ্যমে দুর্নীতির বিষয়টি কেন্দ্রের নজরে আনেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা। পরে ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিবিআই। কদিন আগেই এই ঘটনায় দিল্লির প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা।
ইডি এবং সিবিআই উভয়েরই অভিযোগ, দিল্লির আবগারি নীতিতে বদল আনার ফলে "সাউথ কার্টেল" লবি আর্থিক ভাবে যথেষ্ট লাভবান হয়েছে। অভিযুক্ত নেতাদের মধ্যে কে কবিতা, অন্ধ্রপ্রদেশের ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সাংসদ মাগুন্তা শ্রীনিভাসালু রেড্ডি এবং অরবিন্দ ফার্মার শরদ রেড্ডি ছিলেন বলে অভিযোগ৷
উল্লেখ্য, কদিন আগেই কংগ্রেস ছাড়া ৯ বিজেপি বিরোধী দলের নেতানেত্রীরা সম্মিলিত ভাবে প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। যে চিঠি নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় গোটা ভারতে। সেখানে, সিবিআই, ইডি-র মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে 'ব্যবহার' করে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করা হয়েছিল।