বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিনকে ঘিরে ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত দিল্লি জুড়ে ‘সেবা পাক্ষিক’ পালন করা হবে। এই কর্মসূচির আওতায় স্বাস্থ্য শিবির, রক্তদান, বৃক্ষরোপণ, সাফাই অভিযান ইত্যাদি জনহিতকর কার্যক্রম আয়োজন করা হবে। যেখানে সকল স্তরের মানুষকে একত্রিত হবেন।
রেখা গুপ্তা স্পষ্টভাবে বলেন,দিল্লির সব দুর্গাপুজো কমিটিকে এই সেবা কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে হবে। তিনি জানান, পুজো মণ্ডপের পাশাপাশি স্থানীয় স্তরেও সামাজিক দায়িত্ব পালন করা এখন সময়ের দাবি। এই সিদ্ধান্তে বিভিন্ন পুজো কমিটির প্রতিক্রিয়া মিশ্র। কেউ কেউ প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন, কেউ কেউ সময়ের ঘাটতির কথা বলেছেন। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সঠিক সমন্বয়ের মাধ্যমে এই কর্মসূচি সফলভাবে পরিচালিত হবে।
advertisement
প্রসঙ্গত, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী দুর্গা পুজো উপলক্ষ্যে বিশেষ ঘোষণাও করেছেন পুজো কমিটিগুলির জন্য। প্রতিটি দুর্গা পূজা প্যান্ডেল ১,২০০ ইউনিট করে বিনামূল্যের বিদ্যুৎ পাবে এবং মিটার বসানোর জন্য প্রয়োজনীয় সিকিউরিটি ডিপোজিটের মাত্র ২৫% প্রদান করলেই চলবে। বিভিন্ন দুর্গা পূজা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে এক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী গুপ্ত জানান, উৎসবের প্রস্তুতি সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যার সমাধানের জন্য মন্ত্রিসভার মন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ IND vs PAK: এশিয়া কাপের আগেই ‘সাক্ষাৎ’ ভারত-পাকিস্তান ক্রিকটারদের! কী হল তারপর?
রেখা গুপ্তা পুজো কমিটির সদস্যদের আশ্বস্ত করেছেন যে, জনসাধারণের সুবিধার কথা ভেবে উৎসবের সময় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, স্যানিটেশন সুবিধা, পানীয় জল সরবরাহ, অ্যাম্বুলেন্স এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরিষেবার ব্যবস্থা করা হবে। রাজধানীতে দুর্গা পূজার অনুষ্ঠান শুরু হবে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে।