ডিএনএ টেস্টের রেজাল্টের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে যে দিল্লি বিস্ফোরণে যে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে, তার পিছনে উমর নবির আত্মঘাতী হামলাই দায়ী৷ এর মাধ্যমে হরিয়ানার আল-ফালাহ ইউনিভার্সিটির সঙ্গে লালকেল্লার বিস্ফোরণের ঘটনার সরাসরি যোগ প্রমাণিত হল৷ কারণ, এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই মেডিক্যাল কলেজে জুনিয়র চিকিৎসক হিসাবে কাজ করতেন উমর৷ এই কলেজেই ১০ দিন ধরে পার্ক করে রাখা হয়েছিল বিস্ফোরণে ব্যবহৃত গাড়িটি৷ তারও সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে৷ এই হামলার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে আল-ফালাহ ইউনিভার্সিটির আরও ৩ ডাক্তারকে৷
advertisement
আরও পড়ুন: দেশে ফিরেই আহতদের দেখতে হাসপাতালে মোদি! নিহতদের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মিলল একাধিক তথ্য
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে ‘ফিদায়েঁ’ বম্বার উমর সেই হিউন্ডাই i20 গাড়ি থেকে বেরিয়ে একটি ধর্মীয় প্রার্থনাস্থলে যাচ্ছে৷ তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে সোজা পার্কিং স্পট থেকে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে৷ বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা আগেই৷
সংবাদসংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, ডা. উমর নামের ওই চিকি়ৎসক দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামার কোলি গ্রামের বাসিন্দা৷ হরিয়ানার ফরিদাবাদের আল ফলাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন তিনি৷
গত মঙ্গলবার উমরের মা শামিমা বেগমকে পুলওয়ামায় ডিএনএ টেস্টের জন্য নিয়ে এসেছিলেন তাঁর অপর দুই ছেলে৷ সেই নমুনার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয় i20 গাড়ি থেকে পাওয়া দাঁত ও হাড়ের নমুনার তা মিলিয়ে দেখা হয়েছে৷
উমরের বৌদি মুজামিল বলেন, ‘‘ও ভীষণ শান্ত ছিল৷ নিজের ভিতরেই থাকত৷ সব সময় নিজের কাজ এবং পড়াশোনা নিয়ে থাকত৷ আমরা তো বিশ্বাসই করতে পারছি না যে ও কোনও জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে৷ ’’ উনি জানান, গত ২ মাস আগেই কাশ্মীরে গিয়েছিলেন উমর৷
দিল্লি পুলিশের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে যে, দিল্লি বিস্ফোরণে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, জ্বালানি তেল এবং ডেটোনেটর ব্যবহার করা হয়েছে, ফরিদাবাদে বাজেয়াপ্ত উপকরণের সঙ্গে যার মিল রয়েছে৷ ঘটনার দিন সকালে ২,৯০০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছিল।
