তদন্তে প্রকাশ, হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের মাধ্যমে গভীর রাতে ছাত্রীদের মেসেজ করে নিজের ঘরে ডাকতেন প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর ‘বাবা’। মূলত ইডাব্লিউএস স্কলারশিপ প্রাপ্ত ছাত্রীরাই ছিল বাবার ‘টার্গেট’। জানা গিয়েছে, ছাত্রীদের যৌনসঙ্গমে বাধ্য করতেন অভিযুক্ত বাবা। ছাত্রীরা বাধা দিলে তাদের ফেল করিয়ে দেওয়া, পরীক্ষায় কম নম্বর দেওয়ার ভয় দেখাতেন অভিযুক্ত।
advertisement
শুধু তাই নয়, ছাত্রীদের অভিযোগ মহিলা ওয়ার্ডেনদের দিয়ে ভয় দেখিয়ে তাদের অশ্লীল মেসেজগুলি মুছে ফেলতে বাধ্য করেছেন অভিযুক্ত। ছাত্রীদের ফোন ইতিমধ্যে ফরেনসিকে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। তিনজন ওয়ার্ডেনের বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩২ জন মহিলা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন ম্যানেজমেন্ট (পিজিডিএম) ছাত্রীর বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে ১৭ জন নিশ্চিত করেছেন যে তারা ‘স্ব-ঘোষিত গডম্যান’ দ্বারা অশ্লীল ভাষা, অনাকাঙ্ক্ষিত যৌনসঙ্গম এবং যৌন হয়রানির সম্মুখীন হয়েছেন।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন যে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা ও প্রশাসনিক কর্মীরাও ছাত্রছাত্রীদের ওপর অভিযুক্ত অধিকর্তার দাবি পুরণের জন্য চাপ সৃষ্টি করতেন। ছাত্রীরা জানিয়েছে, আশ্রমের কয়েকজন ওয়ার্ডেন তাদের অভিযুক্তের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেন। অভিযুক্ত অধিকর্তা ছাত্রীদের নিজের ঘরে ডাকতেন বিদেশ ভ্রমণের টোপ দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করতেন।
ছাত্রীদের বয়ানের ভিত্তিতে স্বামী চৈতন্যানন্দের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির ডিসি অমিত গয়াল জানিয়েছেন। পুলিশ ইতিমধ্যে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে এবং ক্রাইমসিন খতিয়ে দেখেছে পুলিশ। তল্লাশি চলেছে অভিযুক্তের ঠিকানাতেও। তবে অভিযুক্ত এখনও ফেরার। সূত্রের খবর, শেষবার তাকে আগ্রার কাছে দেখা গিয়েছে পুলিশের একাধিক দল তার সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে। সূত্রের খবর, দিল্লি আশ্রমের সিসিটিভি ফুটেজ মুছে ফেলা হয়েছে। এমনকী নিজের নামও সরস্বতী থেকে বদলে পার্থ করে ফেলেছেন অভিযুক্ত।
জাতীয় মহিলা কমিশন (এনসিডব্লিউ) ইতিমধ্যেই ঘটনাটির স্বতঃপ্রণোদিত কগনিজেন্স নিয়েছে। তদন্ত চলাকালীন পুলিশ ইনস্টিটিউটের বেসমেন্টে একটি ভলভো গাড়ি খুঁজে পায়, যা স্বামী চৈতন্যানন্দ ব্যবহার করতেন। যাচাই করে দেখা গেছে গাড়িটিতে জাল কূটনৈতিক নম্বর প্লেট (৩৯ ইউএন ১) ব্যবহার করা হয়েছে এবং গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।