বর্ষবরণের রাতে দিল্লির রাস্তায় অঞ্জলির স্কুটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে একটি গাড়ির। যে গাড়িতে সওয়ার ছিলেন পাঁচ মদ্য়প যুবক। দুর্ঘটনার পর অঞ্জলি গাড়ির নীচে ঢুকে যান। সেই অবস্থাতেই তাঁকে টানতে টানতে প্রায় ১২ কিলোমিটার রাস্তা নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: মাত্র কুড়ি বছরেই কাঁধে ৫ জনের সংসারের ভার, মদ্য়পদের গাড়ির চাকায় শেষ হল অঞ্জলির স্বপ্
advertisement
সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তের সময় অঞ্জলির মাথার ভিতরের ঘিলু দেখতে পাননি চিকিৎসকরা। খুলি ফেটে কার্যত হা হয়েছিল। চিকিৎসকদের ধারণা, অঞ্জলিকে যখন রাস্তা দিয়ে ঘষটে ঘষটে টেনে নিয়ে আসা হচ্ছিল, তখনই সম্ভবত তা মাথা ফেটে বেরিয়ে গিয়েছে। পুলিশকেও সেকথা জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিল্লি কাণ্ডে নয়া মোড়, তরুণীর সঙ্গে ছিলেন এক বান্ধবীও! দুর্ঘটনার পরই উধাও
দিল্লির মৌলানা আজাদ মেডিক্য়াল কলেজের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দল অঞ্জলির ময়নাতদন্ত করেন। রিপোর্টে লেখা হয়েছে, অঞ্জলির বুকের পাঁজরও ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছে। পীঠের দিক থেকে যা দেখাও যাচ্ছিল। বুকের কাছেও রয়েছে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন। অঞ্জলির শিরদাঁড়াও ভেঙে গিয়েছিল। গোটা শরীর ধুলো এবং মাটিতে একাকার হয়েছিল।
আট পাতার রিপোর্টে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অঞ্জলির শরীরে মোট চল্লিশটি আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। মাথা, শিরদাঁড়া, দুই পা সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধে ছিল। চিকিৎসকদের মতে, এই সব ধরনের আঘাতই যে কারওর মৃত্য়ুর কারণ হতে পারে। গাড়ি দুর্ঘটনার কারণে এই ধরনের আঘাত স্বাভাবিক বলেও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। অঞ্জলির ভিসেরার নমুনা এবং জামাকাপড়ে লেগে থাকা রক্তের নমুনাও সংরক্ষণ করা হয়েছে।