তবে ফায়ার সার্ভিসের দ্রুত পদক্ষেপে আগুন ৩০-৩৫ মিনিটের মধ্যে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে এবং বড় কোনও বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
ঘটনার সময় ট্রমা সেন্টারে শত শত রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিন্তু আগুন হাসপাতালের মূল ভবনে ছড়িয়ে না পড়ায় এবং AIIMS কর্তৃপক্ষ ও দমকল বিভাগের সমন্বয়ে পরিস্থিতি দ্রুত সামাল দেওয়া সম্ভব হয়। এখন পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
advertisement
আরও পড়ুন: বৈষ্ণো দেবীতে ভয়াবহ ভূমিধস, পাথরে ঢেকে গেল রাস্তা! বন্ধ গাড়ি, হেলিকপ্টার পরিষেবা…
দিল্লি ফায়ার সার্ভিস অফিসার মনোজ আহলাওয়াত জানান, “পরিস্থিতি খুব বিপজ্জনক ছিল, কারণ আগুন লাগা ট্রান্সফর্মারটির পাশে আরও দুটি ৩৩,০০০ ভোল্টের ট্রান্সফর্মার ছিল এবং মাত্র ৫ মিটার দূরেই ছিল চিকিৎসকদের হোস্টেল। কিন্তু সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়ায় বড় বিপদ এড়ানো গেছে।”
এই ঘটনার ঠিক তিনদিন আগেই জাফরাবাদের চৌহান বাঙ্গরের নূরানি মার্কেটের এক কাপড়ের দোকানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেখানে আগুন দ্রুত চার তলায় ছড়িয়ে পড়ে এবং দোকানের সামনে অবস্থিত দু’টি বাড়িতেও আগুন ধরে যায়। সময়মতো সজাগ থাকায় প্রায় ৩০ জন বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়।
আরও পড়ুন: পাথর দিয়ে স্বামীর মাথায় ভয়ঙ্কর আঘাত স্ত্রী-এর! পুকুরে ফেলে ডুবে যাওয়ার নাটক, তারপর…
জাফরাবাদের সেই ঘটনায় দমকল বাহিনীকে বিশেষ সমস্যার মুখে পড়তে হয়। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এবং তারের জটের কারণে ফায়ার ইঞ্জিন ভিতরে ঢুকতে পারেনি। ফলে ব্রহ্মপুরী রোডে গাড়ি দাঁড় করিয়ে সেখান থেকে ১০০ মিটার পাইপ দিয়ে জল সরবরাহ করে ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
উভয় ঘটনার পরে ফের প্রশ্ন উঠছে রাজধানী দিল্লির বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা এবং অগ্নি নিরাপত্তা নিয়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জনবহুল এলাকা, হাসপাতাল ও বাজার অঞ্চলে ট্রান্সফর্মার ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ এবং নিয়মিত বৈদ্যুতিন পরিদর্শন অত্যন্ত জরুরি। সামান্য অবহেলাতেই বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, আর তাই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত নজরদারি ও অবকাঠামো উন্নয়নের দাবি জোরাল হচ্ছে।