আরও পড়ুন- "বিরোধীরা আলোচনাও করেনি": রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদী মুর্মুকেই সমর্থন মায়াবতীর
১৪ জুন ঘোষিত এই প্রকল্পে বলা হয়েছে, ১৭ থেকে ২১ বছর বয়সী যুবকদের সেনাবাহিনীতে মাত্র চার বছরের জন্য নিয়োগ করা হবে। তাদের মধ্যে মাত্র ২৫ শতাংশকেই আরও ১৫ বছরের জন্য নিয়োগ করা হবে৷ ২০২২ এর জন্য, বয়সের ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে ২৩ বছর করা হয়েছে। ভারতের বেশ কয়েকটি অংশে এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক বিক্ষোভে সামিল হন আন্দোলনকারীরা। ৭৫ শতাংশ প্রার্থীদের চাকরির গ্যারান্টি না থাকায় এই প্রকল্প প্রত্যাহারের দাবি ওঠে।
advertisement
“এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হোক। আমরা প্রতি বছর এর পর্যালোচনা করতে থাকব এবং যদি আমরা কোনও ত্রুটি বা চ্যালেঞ্জ খুঁজে পাই, তবে সেগুলি সমাধান করার চেষ্টা করব। এটি আমাদের সরকারের প্রতিশ্রুতি,” বলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও জানান, এই প্রকল্পটি সশস্ত্র বাহিনীর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে।
আরও পড়ুন- "শিবের মতো বিষপান করে যন্ত্রণা সয়েছেন মোদিজি": গুজরাত দাঙ্গা প্রসঙ্গে অমিত শাহ!
৭৫ শতাংশ নিয়োগকারী, যাদের ‘অগ্নিবীর’ হিসাবে মেয়াদ চার বছর পরে শেষ হয়ে যাবে তাদের জন্য সরকার কিছু পরিকল্পনা করেছে বলেই দাবি রাজনাথ সিংয়ের। “যখনই কোনও নতুন পরিকল্পনা আসে, মানুষের মনে তা নিয়ে কিছু আশঙ্কা থাকেই। আমি বলছি না কোনও আশঙ্কা থাকা উচিত নয়... তবে আমরা ইতিমধ্যেই এই সমস্ত আশঙ্কা নিয়ে আলোচনা করেছি এবং যে চ্যালেঞ্জগুলি উত্থাপিত হতে পারে তার মোকাবিলাও করেছি,” বলেন রাজনাথ সিং।
মঙ্গলবার তিন সেনাবাহিনী প্রধান পৃথকভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেন এবং এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য তাঁদের পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করেন। অগ্নিপথ প্রকল্পের অধীনে, সশস্ত্র বাহিনী এই বছর ৪৬,০০০ সৈন্য নিয়োগের পরিকল্পনা করেছে এবং আগামী বছরগুলিতে এই সংখ্যা বাড়তে চলেছে।