প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ১৪ ও ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে মাত্র ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে হাজার হাজার যাত্রী একসঙ্গে ট্রেন ধরতে জড়ো হওয়ায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। তাতেই ঘটে বিপর্যয়। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে এলএনজেপি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখানেই ১৮ জনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে ভারতীয় রেল। এর পাশাপাশি আহতদেরও ক্ষতিপূরণ দেবে রেল। পদপিষ্টের ঘটনায় গুরুতর আহতদের ২.৫ লক্ষ টাকা করে এবং তুলনায় কম আহতদের ১ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
মৃতদের মধ্যে ১০ জন মহিলা ও ৩ জন শিশু রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আরও অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
কংগ্রেসের দাবি, “সরকার ও প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে যে অব্যবস্থাপনা ও অবহেলার কারণে আর কোনও নিরীহ যাত্রীর মৃত্যু না হয়।” রাহুল গান্ধী আরও বলেন, “রেলমন্ত্রীকে এই ঘটনার সম্পূর্ণ দায় নিতে হবে এবং অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।”
বিরোধীদের অভিযোগ, “একদিকে সরকার বুলেট ট্রেনের স্বপ্ন দেখাচ্ছে, অন্যদিকে সাধারণ মানুষের জন্য ন্যূনতম নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও ব্যর্থ। এই ঘটনাই প্রমাণ করে, বর্তমান সরকারের কাছে জনসাধারণের জীবন কোনও গুরুত্বই রাখে না।” ঘটনার পর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের তরফে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তবে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনার জ্বলন্ত প্রমাণ হয়ে রইল।
