অবশেষে ২৫ কোটি টাকার বরাতটি পেয়েছে ডালমিয়া গ্রুপই । গত বছরই ‘অ্যাডপ্ট আ হেরিটেজ’ প্রকল্পের ঘোষণা করেছিল মোদি সরকার ৷ আর সেই মতো বরাত পেল ডালমিয়া গ্রুপ ৷ শোনা যাচ্ছে, এই সংস্থার প্রাথমিক লক্ষ্য কীভাবে লালকেল্লাকে সাজিয়ে তোলা যায় ৷ লালকেল্লাকে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু করে তুলতে বেশ কিছু পরিকল্পনাও করা হয়েছে । দৃষ্টিহীনদের সুবিধের জন্য তৈরি করা হবে বিশেষ ধরনের মেঝে, শুরু করা হবে লাইট শো, সৌধের বিভিন্ন জায়গায় লেখা হবে লালকেল্লার ইতিহাস, প্রতিদিন থাকবে গানের অনুষ্ঠানের আয়োজন। কেল্লাকে জনপ্রিয় করতে বিজ্ঞাপনের ব্যবস্থাও করা হবে । আগামী এক বছরের মধ্যে লালকেল্লা–চত্বরে শৌচাগারের উন্নতি, পর্যটকদের ঘুরে দেখার সুবিধের জন্য কেল্লার বিভিন্ন অংশের ম্যাপ, কেল্লা–চত্বরে আলোকসজ্জা, অনুসন্ধান কেন্দ্র, ব্যাটারিচালিত গাড়ি, কফি শপ তৈরি করতে হবে ডালমিয়া গ্রুপকে । এর জন্য পর্যটকদের কাছে অতিরিক্ত অর্থ ধার্য করতে পারবে গ্রুপ। সেই অর্থ পরে খরচ করতে হবে কেল্লার উন্নতিতেই । লালকেল্লায় হোর্ডিং বা ব্যানার দিয়ে নিজেদের কোম্পানির নামও প্রচার করা যাবে ।
advertisement
আরও পড়ুন: সমাজ গঠনে অভিজ্ঞ, তাই সিভিল ইঞ্জিয়ারদের সিভিল সার্ভিসে আসা উচিত, দাবি বিপ্লব দেবের
আগামী ১৫ অগস্ট লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগে কেল্লাকে ভাষণ–উপযোগী করে তোলার চিন্তা–ভাবনা রয়েছে ডালমিয়া গ্রুপের। এরপর দত্তকের তালিকায় রয়েছে তাজমহল, হিমাচল প্রদেশের কাংড়া ফোর্ট, অরুণাচল প্রদেশের তিমবাং, হরিদ্বারের সতীঘাট, কোনারকের সূর্যমন্দির প্রভৃতি। এর মধ্যে সূর্যমন্দিরের ব্যাপারে চূড়ান্ত পর্যায়ের আলোচনা চলছে ডালমিয়া গ্রুপের সঙ্গেই । অন্য দিকে তাজমহলকে দত্তক নিতে লড়ছে জিএমআর গ্রুপ এবং আইটিসি।