ডিএ মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারী। গত বছর ৫ ডিসেম্বর মামলাটি প্রথম শুনানির জন্য ওঠে। পরে তা পিছিয়ে ১৪ ডিসেম্বর করা হয়। পাশাপাশি, এই মামলা শুনানির জন্য নতুন ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করা হয়। সেখানে ছিলেন দুই বাঙালি বিচারপতি- বিচারপতি হৃষীকেশ রায় এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। কিন্তু ওই দিন মামলাটি থেকে বিচারপতি দত্ত সরে দাঁড়ানোয় শুনানি হয়নি।
advertisement
জানুয়ারিতে আবার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো ১৬ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক হয়েছে। অন্য দিকে, আগের ডিভিশন বেঞ্চ থেকে বিচারপতি দত্ত সরে যাওয়ায় নতুন কোনও বেঞ্চে এই মামলা পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: যোশীমঠ সঙ্কট চরমে! ধামিকে জরুরি ফোন Modi-র! জানতে চাইলেন বিস্তারিত হাল-হকিকৎ
গত বছর মে মাসে কলকাতা হাই কোর্ট রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। তাদের যুক্তি, হাই কোর্ট মেনে নিলে ডিএ দিতে হলে প্রায় ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা খরচ হবে। রাজ্যের পক্ষে যা বহন করা দুঃসাধ্য। রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনের (কনফেডারেশন) আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, "বকেয়া ডিএ দিতে হলে রাজ্যের উপর বিশাল অঙ্কের আর্থিক বোঝা চাপবে এটা ঠিক। আবার এটাও ঠিক যে ডিএ সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্য অধিকার। তা থেকে তাঁরা বঞ্চিত হবেন কেন?"
অর্ণব হাজরা