বুধবার টাটা সন্স বোর্ড ও ট্রাস্টকে একটি পাঁচ পাতার বিস্ফোরক ইমেল করেন সাইরাস মিস্ত্রি ৷ ইমেলে তিনি জানান, কোনওদিনই তিনি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেননি ৷ প্রত্যেকটি সিদ্ধান্তে ও কাজকর্মে নাক গলানো হত ৷ চেয়ারম্যান পদ থেকে তাকে সরানোর ঘটনাকে কর্পোরেট ইতিহাসে বেনজির বলে বর্ণনা করেছেন তিনি ৷ ‘টাটা গোষ্ঠীর ব্যবহারে আমি স্তম্ভিত’ ‘আমি এরম কিছু আশাই করিনি’, ই-মেল জানান সাইরাস মিস্ত্রি ৷
advertisement
শেষ ১২ মাসে কি লেমডাক হয়ে ছিলেন টাটা সন্সের চেয়ারম্যান? বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাঁর মতটুকুও নেওয়া হত না? চেয়ারম্যানকে অন্ধকারে রেখে সংস্থা চালাতেন বোর্ড অফ ডিরেক্টরস ও টাটা পরিবারের সদস্যরা? ই-মেলে সাইরাসের এই অভিযোগের পর নতুন অস্বস্তির মুখে টাটা গোষ্ঠী। তিনি লেখেন, ‘চেয়ারম্যানকে অন্ধকারে রেখে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ লেম ডাক চেয়ারম্যান থাকতে বাধ্য হয়েছি ৷ সংস্থার অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক গলাতো ট্রাস্ট ৷ টাটা’র গঠনতন্ত্র সেই অনুমোদন দেয় না’, চিঠিতে রতন টাটাকে জানালেন সাইরাস ৷
কিছুটা সরাসরিই বলেছেন। কিছু নাম না করে। রতন টাটা শেষ ১০ বছরে যে সিদ্ধান্তগুলি নিয়েছিলেন, তাই বুমেরাং হয়েছে বলে ই-মেলে মত সাইরাসের। কেন এই অভিযোগ, তাও ব্যাখ্যা করেছেন ৷ পাশাপাশি চিঠিতে তিনি জানান, ‘গত ৪ বছরে সংস্থার আর্থিক সম্পদ বেড়েছে ৷ মোট মূলধন ১৬ শতাংশ বেড়েছে ৷ কোনও সংস্থাই বোঝা নিয়ে চলতে পারে না ৷ তাই অলাভজনক সংস্থা বিক্রির চেষ্টা করেছি ৷ বোর্ড অফ ডিরেক্টরস ক্রমাগত ভুল তথ্য দিয়েছে ৷’
কীভাবে টাটার মতো সংস্থা একতরফা ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে চুক্তি করল ডোকোমোর সঙ্গে? ই-মেলে জবাব চেয়েছেন অপসারিত চেয়ারম্যান। তার জমানায় সংস্থা কিভাবে চলেছে, পেশ করেছেন সেই খতিয়ানও। মেলের শেষে সাইরাসের চ্যালেঞ্জ, পরিচলন নীতিতে তার ব্যর্থতা কোথায়, তা জানাক বোর্ড অফ ডিরেক্টরস। সেই উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি। আর উত্তর না মিললে। সেটা আপাতত ধাঁধাই রাখছেন টাটার স্বঘোষিত লেমডাক বয়।