বঙ্গোপসাগরে এর আগেও একাধিক ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি হয়েছে। ২০১৯ সালের ফণী, ২০২০ সালের আমফান, ২০২১ সালের ইয়াস, ২০২২ সালে সিত্রাং-এর দাপট দেখেছে বঙ্গোপসাগর। অন্যান্য বছরের সাইক্লোনের সঙ্গে মিল-অমিল খোঁজার পালাও শুরু। এই প্রসঙ্গে আবহাওয়াবিদ রবীন্দ্র গোয়েঙ্কা দিন কয়েক আগে জানিয়েছেন, বিধ্বংসী আমফানের সঙ্গে মোকার মিল রয়েছে একাধিক।
আরও পড়ুন: ঘণ্টায় ১৫০ কিমি হতে পারে! সাইক্লোন মোকা বাংলাদেশে কী রকম প্রভাব ফেলতে পারে জানুন
advertisement
কী কী সেগুলি?
আমফানের সময়ে দেখা গিয়েছিল পূর্বাভাস তৈরির বেশ কিছুদিন পর ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছিল। এবারও সেরকমই সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। যেখানে আমফানের ঘূর্ণাবর্তটি ছিল, খানিক সেখানেই তৈরি হতে পারে মোকার ঘূর্ণাবর্ত। আমফানের সময়ে বলা হয়েছিল, ঝড়টি বাংলাদেশ বা মায়ানমারে যেতে পারে। কিন্তু পরবর্তীকালে দেখা যায়, সেটি পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আছড়ে পড়েছিল। যদিও ২০২০ সালের সঙ্গে চলতি বছরের আবহাওয়া পরিস্থিতির ফারাক রয়েছে। বর্তমানে এল নিনো চলছে। ফলে আগে থেকে সুস্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তবে এখনই বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।
এই মডেল অনুযায়ী, ৬-৭ তারিখের মধ্যে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এবং কিছুটা আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে এই ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। এরপর এই ঘূনাবর্ত ৮ থেকে ৯ মে-র মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হবে। ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও মধ্য বঙ্গোপসাগরে এটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপ থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে।
আরও পড়ুন: সূর্য ডোবার পর প্রাসাদের কাছে গেলেই ভয়ানক কাণ্ড! দেশেই রয়েছে এমন কোঠি, জানেন কি
১০ মে-র মধ্যে এই গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। সেই ঘূর্ণিঝড় ১৪ থেকে ১৭ তারিখের মধ্যে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম থেকে মায়ানমারের রাখাইন উপকূলের মাঝামাঝি কোথাও স্থলে ভাগে আছড়ে পড়তে পারে। সেই সময় এর গতিবেগ হতে পারে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।