আরও পড়ুন: পুলিশকে গাড়ির বনেটে ১০০ মিটার নিয়ে গেল চালক! কোনও মতে প্রাণে বাঁচলেন ব্যক্তি, দেখুন ভিডিও
ভিডিওটি এর মধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে৷ সেখানে দেখা গিয়েছে, আশা কর্মী শিবানি মন্ডল, এক বৃদ্ধা গ্রামবাসীকে উদ্ধার করেন। তিনি নিজের জীবনের কথা একবারও ভাবেননি৷ কাদা মাখা বৃদ্ধার হাঁটার ক্ষমতা নেই৷ শিবানি তাই সেই বৃদ্ধাকে কাঁধে নিয়েই ধ্বংসলীলার মধ্যে দিয়ে হেঁটে আসছিলেন৷ জীবনের পরোয়া না করে এই আশা কর্মী ওই বৃদ্ধাকে সাইক্লোন সেন্টারে পৌঁছে দেন৷
advertisement
ওড়িশার PIB তাদের অফিসিয়াল ‘X’ হ্যান্ডেলে ভিডিওটি শেয়ার করেছে৷ লেখা হয়েছে, “নারিশক্তিকে প্রণাম৷ কেন্দ্রাপাড়া জেলার রাজনগর ব্লকের কাসমুন্ডা গ্রামের আশা কর্মী সিবানি মন্ডল এক বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে সাইক্লোন সেন্টারে নিয়ে গিয়েছেন৷ শিবানি মণ্ডলের সাহসকে কুর্ণিশ৷”
আরও পড়ুন: রাজস্থানে ৪৫৬ লিটার সর্ষের তেল ও ১১৫ কেজি সোন-পাপড়ি নষ্ট করে দেওয়া হল! কেন জানুন…
এই ভিডিও ভাইরাল হতে বেশি সময় নেয়নি৷ শিবানি মণ্ডল যেভাবে নিজের প্রাণের মায়া না করে বৃদ্ধাকে বাঁচিয়েছেন, তাঁর প্রশংসায় সবাই৷ ভিডিওটি এখন পর্যন্ত ৪৫ বাজারেরও বেশি ভিউ পেয়েছে।
একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী ওই ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন, “তাকে পুরস্কৃত করা উচিত…”, অন্য একজন বলেছেন, “শিবানি মণ্ডলকে এমন মহান কাজের জন্য স্যালুট।” আরেকজন মন্তব্য করেছেন, “প্রকৃত ক্ষমতাশালী মহিলার সঠিক উদাহরণ এই মহিলা।”
BJP-র জাতীয় সহ-সভাপতি বৈজয়ন্ত জয় পাণ্ডাকে ট্যাগ করে একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইউসার লিখেছেন, বলেছেন, “আশা কর্মীতে কর্মরত দিদিদের স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। প্রবল বিপদেও এমন আত্মত্যাগের প্রশংসা করা উচিত। ধন্যবাদ।” অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, “তার আত্মত্যাগের জন্য মাথা নত করছি এবং সকলের নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা করছি।”
ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর (IMD) অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় দানা শুক্রবার সকালে ডাঙায় আঘাত হানার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে৷ সময় লেগেছে প্রায় আট ঘণ্টা। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ভুবনেশ্বর এবং কলকাতায় ফ্লাইট পরিষেবা বিঘ্নিত হয়৷
ভুবনেশ্বরে, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মজিরা ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতির পর্যালোচনা করেন। ঝড়ের ফলে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি বা মৃত্যুর খবর এখনও পাওয়া যায়নি। কিছু জায়গায় ইতিমধ্যেই উদ্ধার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায়, ওড়িশা সরকার প্রায় ৫.৮ লাখ মানুষকে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল থেকে সরিয়ে নিয়েছিল। তারা জাতীয় বিপর্যয় প্রতিক্রিয়া বাহিনী (NDRF), ওড়িশা বিপর্যয় ত্বরিত পদক্ষেপ বাহিনী (ODRAF) এবং ফায়ার সার্ভিস ও বন বিভাগের কর্মীদের অন্তর্ভুক্ত ৩৮৫টি উদ্ধারকারী দলকে কাজে লাগিয়েছে।