নাগপুরের পুলিশ কমিশনার রবীন্দ্র সিংহল জানিয়েছেন, সোমবার রাত থেকেই ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা বা বিএনএসএস-এর ১৬৩ ধারা লাগু করা হয়েছে৷ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকবে বলে জানিয়েছেন নাগপুরের পুলিশ কমিশনার৷
আরও পড়ুন: ঔরঙ্গজেবকে ঘিরে বিতর্কে আগুন জ্বলল নাগপুরে, জারি ১৪৪ ধারা! শান্তি রক্ষার আর্জি ফড়ণবীশের
নাগপুর শহরের খুলাদাবাদ এলাকা থেকে মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের সমাধিস্থল সরাতে হবে, এই দাবি তুলে গতকাল বিকেলে নাগপুর শহরের মহল এলাকায় মিছিল এবং জমায়েত করে কয়েকটি সংগঠনের প্রতিনিধিরা৷ এর পরই অশান্তির সূত্রপাত৷ রাতেই মহল এলাকায় একদল উন্মত্ত জনতা পাল্টা গাড়ি, বাড়িতে আগুন ধরাতে শুরু করে৷ বেশ কিছু বাড়ি এবং গাড়ি পুড়ে যায়৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে পুলিশ, দমকলকর্মীদের লক্ষ্য করে শুরু হয় পাথর বৃষ্টি৷ পাল্টা পুলিশ লাঠিচার্জ করে, টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটানো হয়৷ পুলিশ জনতা সংঘর্ষেও দু পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন৷ অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে রাতেই অন্তত ১৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷
advertisement
পুলিশ জানিয়েছে, নাগপুরের কোতয়ালি, গণেশপেট, লকড়গঞ্জ, তেহশিল, পাচপাভলি, শান্তিনগর, সক্করদারা, নন্দনবন, ইমামওয়াড়া, যশোদানগর, কপিলনগর থানা এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে৷ এই নির্দেশিকার ফলে কোনও মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বেরোতে পারবেন না৷ পাঁচ জনের বেশি জমায়েতও করতে পারবেন না৷ কোনও গুজব ছড়ানো যাবে না৷
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ গতকালই শান্তিরক্ষার আর্জি জানিয়ে দাবি করেছিলেন, গুজব থেকেই এই অশান্তি ছড়িয়েছে৷ এ দিন একই দাবি করেছেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেও৷ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাজ্য সরকার এবং পুলিশ প্রশাসন৷