এই প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন ন্যাচারোপ্যাথ ড. রাজেশ মিশ্র। তিনি ব্যাখ্যা করেছেন যে, শহরগুলিতে ক্রমবর্ধমান দূষণের কারণে কাক এবং অন্যান্য পাখি অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, আলোক দূষণের কারণে কাক-সহ অন্যান্য পাখি শহর ছেড়ে গ্রামাঞ্চলের দিকে চলে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি শহরের পরিবেশও পাখিদের জন্য একেবারেই অনুকূল নয়।
advertisement
আরও পড়ুন: চিকেন বিরিয়ানিতে ওটা কী নড়ছে! খেতে গিয়েই আঁতকে উঠলেন যুবক, পরের কাণ্ড মারাত্মক
গাছ নিধনও অন্যতম বড় কারণ:
ড. রাজেশ মিশ্রর বক্তব্য, শহরের উন্নয়নের জন্য গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। আর এটাও শহরাঞ্চল থেকে কাক পালিয়ে যাওয়ার অন্যতম বড় কারণ। কারণ গাছ নিধনের ফলে হারিয়ে যাচ্ছে কাকেদের আশ্রয়।
আরও পড়ুন: ঘরে বসে কয়েক মিনিটে পেয়ে যান গাড়ির পলিউশন সার্টিফিকেট, পুলিশের জরিমানা থেকে মুক্তি
কাক ছাড়া কীভাবে পিতৃপক্ষ পালিত হতে পারে?
আচার্য পণ্ডিত দীনেশ শাস্ত্রী ব্যাখ্যা করেছেন যে, সনাতন ধর্মে পশু-পাখির একটা আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। প্রত্যেকের জীবনেই পাপ আছে। তা নিবারণ করার জন্য চির ধার্মিক মানুষেরা ৫টি যজ্ঞ করে। এতে কাকের গুরুত্ব অনেক। কারণ এই পাখিটিকেই যমরাজের দূত হিসেবে গণ্য করা হয়। কিন্তু এখন দূষণ আরও বেড়েছে। যা জীবজগতের জন্য আশঙ্কারই বটে। এতে কাকের উপরও বিপদের খাঁড়া ঝুলছে। খাবার পেতেও অসুবিধা হচ্ছে তাদের।
কাককে খাওয়ালে কী হয়?
আচার্য পণ্ডিত দীনেশ শাস্ত্রীর ব্যাখ্যা, পিতৃপক্ষে কাককে খাওয়ালে পূর্বপুরুষরা মোক্ষ লাভ করেন এবং পাপ দূর হয়। কিন্তু যদি কাক না পাওয়া যায়, তাতেও অসুবিধা নেই। কারণ সনাতম ধর্মে গরুর গুরুত্বও অপরিসীম। মনে করা হয়, গরুতে সকল দেবদেবীর বাস। তাই কাক না পেলে গরুকেও খাওয়ানো যেতে পারে। এতে পিতৃপুরুষেরা মোক্ষ লাভ করতে পারেন।