পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ ত্রিপুরার মনুবাজার থানার অন্তর্গত কালচেরা গ্রামের বাসিন্দা আশীষ দেবনাথ দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। রবিবার সকালে তিনি হঠাৎ উন্মত্ত হয়ে ওঠেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে দুই প্রতিবেশী এগিয়ে আসেন।
আরও পড়ুন: এ কেমন বাবা, ৭ বছরের মেয়ের গলায় ছুরি চালিয়ে পালানোর চেষ্টা! জানুন ঘটনাটি…
দক্ষিণ ত্রিপুরার এসডিপিও নিত্যানন্দ সরকার জানান, “আশীষ দেবনাথ হঠাৎ মারাত্মকভাবে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন এবং ওই দুই ব্যক্তির উপর হামলা চালান। এক ব্যক্তিকে তিনি লোহার রড দিয়ে আঘাত করেন, যার ফলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তবে অন্য ব্যক্তি কোনো রকমে পালিয়ে বাঁচতে সক্ষম হন।”
advertisement
প্রতিবেশী দেশপ্রিয় ভট্টাচার্যকে হত্যা করার পর দেবনাথ তার মৃতদেহ একটি পুকুরে নিয়ে যান এবং সেখানেই লোহার রড হাতে বসে থাকেন। গ্রামবাসীরা পুলিশকে খবর দিলে, পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
আরও পড়ুন: মর্মান্তিক, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে বাড়িতে ভয়াবহ আগুন! ঝলসে ‘শেষ’ দুই শিশু
পুলিশ ভ্যান দেখেই দেবনাথ পালানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ তাকে ধরে ফেলে। এরপর উত্তেজিত জনতা তাকে ঘিরে ধরে মারধর শুরু করে। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানায়, আশীষ দেবনাথ গত বছর পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এবং পরে জামিনে মুক্তি পান। এই ঘটনার পর পুলিশ একটি মামলা দায়ের করেছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।