সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ BBGTS মূর্তি জানান, রচনা সঞ্জয়কে বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। কিন্তু তিনি বিয়ে করতে চাননি কারণ সঞ্জয় বিবাহিত ছিব এবং তাঁর দুই সন্তান ছিল।
৯ অগাস্ট, সঞ্জয়, তাঁর ভাগ্নে সন্দীপ প্যাটেল এবং বন্ধু প্রদীপ ওরফে দীপক আহিরওয়ার রচনাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। তারপর তাঁর দেহ ৭ টুকরো করে কেটে বস্তায় ভরেন এবং একটি কুয়োতে ফেলে দেন। মাথা এবং পা লখেরি নদীতে ফেলে দেন যাতে শনাক্ত করা না যায়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ‘আমি পাবজি প্লেয়ার হতে চাই’! নাবালক এটা লিখতেই…, তারপরেই সব শেষ!
১৩ অগাস্ট পচা দেহটি খুঁজে পায়। পুলিশ মাথা শনাক্ত করতে পারেনি। “আমরা সমস্ত দেহাংশ উদ্ধার করেছি এবং দুইজনকে গ্রেফতার করেছি, তৃতীয় অভিযুক্তের সন্ধান করছি।’’
গ্রামবাসীরা দেহটি রচনার বলেই সন্দেহ করে এবং তাঁর ভাই দীপক যাদবকে খবরটি জানানো হয়। সঞ্জয়ের সঙ্গে একাধিক ফোন কলের রেকর্ড পায় পুলিশ। এর ফলে তার বাড়িতে রাতের বেলা অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। তিনি সেই হত্যাকাণ্ড স্বীকারও করেন।
রচনা, মালওয়ারা গ্রামের বাসিন্দার আগে দুবার বিয়ে হয় এবং তাঁর প্রথম বিবাহ থেকে দুই সন্তান আছে। দ্বিতীয় স্বামীকে ছেড়ে তিনি মাহেবার শিবরাজ যাদবের সঙ্গে থাকতেন। ২০২৩ সালে, তিনি শিবরাজ এবং তাঁর বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে যৌতুক হয়রানি, ধর্ষণ এবং হত্যার চেষ্টা করার অভিযোগে একটি FIR দায়ের করেছিলেন। শিবরাজ জুন মাসে মারা যান, তার পরে রচনা সঞ্জয়কে বিয়ের জন্য চাপ দিতে শুরু করেন। পুলিশ সঞ্জয় এবং সন্দীপকে গ্রেফতার করেছে, যখন প্রদীপ এখনও পলাতক।