আরও পড়ুন: স্বপ্ন দেখতেন হাজার হাজারের, পেলেন ১২ কোটি! বদলে গেল জীবন, চোখ বেয়ে এল জল...
গত বছর ডিসেম্বরের শেষ ও জানুয়ারি মাসের শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে! খুব অল্প সময়ের মধ্যে কোভিড চিত্রটা ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে! তবে, সোমবার থেকে খানিক স্বস্তি মিলেছে। মুম্বই, দিল্লি ও কলকাতায় গত সপ্তাহের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কম। প্রশাসনের দেওয়া পরিসংখ্যান যদি মেনে নেওয়া হয়, তা হলে এটাই দাঁড়ায়, বিগত কিছু দিনে দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে মুম্বই, দিল্লি ও কলকাতা কোভিড সংক্রমণের শিখর পেরিয়েছে, কারণ তার পরই সংক্রমণ কমতে থাকে! কিন্তু এমনটা আদৌ মনে করছে না বিশেষজ্ঞরা! একদিকে যখন দিল্লি, মুম্বই আর কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা কমছে, অন্যদিকে ভাইজাগে বাড়ছে সংক্রমণ। চেন্নাইয়ে শনিবারের তুলনায় সোমবার যেমন দৈনিক সংক্রমণ কম, অন্যদিকে এই সংখ্যাটা গত সোমবারের তুলনায় অনেকটাই বেশি। একই ছবি বেঙ্গালুরুর।
advertisement
আরও পড়ুন: বাংলার মন পেতে বাজেটে কী চাই? মেট্রো থেকে এইমস, নির্মলাকে একগুচ্ছ প্রস্তাব রাজ্য বিজেপি-র
এপিডেমিওলজিস্ট ডঃ চন্দ্রকান্ত লাহারিয়া জানান, '' বর্তমান পরিস্থিতিতে শিখর নিয়ে ভাবনাচিন্তা করার কোনও মানে হয় না! মানুষকে প্রতি মুহূর্তে সচেতন হতে হবে! সেটাই সবথেকে আগে কাম্য। এপিডেমিওলজি আর প্ল্যানিং সংক্রান্ত বিষয়ের ক্ষেত্রে শিখর গণনা করা প্রয়োজন হয়। দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা থেকে এটা বোঝা কঠিন যে আদৌ শিখরে পৌঁছেছে কি না, কারণ টেস্ট কমলে আক্রান্তের সংখ্যা এমনিতেই কমে যাচ্ছে। ১০ জানুয়ারির পর থেকে যাঁরা উপসর্গহীন রোগী, তাঁরা আর পরীক্ষা করাচ্ছেন না, কাজেই সঠিক আক্রান্তের সংখ্যা সামনে আসছে না।'' তাঁর মতে, প্যানডেনিক কোন পথে যাচ্ছে তা বোঝার জন্য পজিটিভিটি রেট আর হাসপাতালের কত বেড ভর্তি, তা ট্র্যাক করা উচিৎ।