কোভ্যাক্সিন টিকা তৈরি করেছে ভারতের হায়দারাবাদে (Hyderabad) অবস্থিত ভারত বায়োটেক (Bharat Biotech)। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি (NIV) এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের (ICMR) সহায়তায় ভারত বায়োটেক তৈরি করেছে কোভ্যাক্সিন টিকা।
মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানসেটে জানানো হয়েছে যে কোভ্যাক্সিন টিকার ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয় ভাইরাস টেকনিকের ব্যবহার করা হয়েছে। এর ফলে এই টিকার দু'টি ডোজ নেওয়ার দু'-সপ্তাহের মধ্যেই মানবদেহে মজবুত অ্যান্টিবডি তৈরির কাজ শুরু হয়ে যায়। এই জার্নালে বলা হয়েছে যে কোভ্যাক্সিন টিকার ট্রায়ালের সময় মৃত্যুর মতো যে সব গুরুতর ঘটনা ঘটেছিল, তার হিসাব রাখা হয়নি। ভারতে এই ট্রায়াল হয়েছিল ২০২০ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০২১ অবধি।
advertisement
আরও পড়ুন-মারাত্মক আকার নিয়েছে বায়ু দূষণের মাত্রা, এর জন্যই কি ভাইরাল জ্বরের বাড়বাড়ন্ত
এই ট্রায়ালে ১৮ থেকে ৯৭ বছর বয়সী প্রায় ২৪ হাজার ৪১৯ জন যোগদান করেছিল। ভারতে জানুয়ারি মাসেই কোভ্যাক্সিন টিকাকে দেওয়া হয়েছে ছাড়পত্র। কিন্তু সেই সময় এই টিকার শেষ পর্যায়ের ট্রায়াল তখনও বাকি ছিল। সেই সময় থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১ কোটির বেশি কোভ্যাক্সিন টিকার ডোজ দেওয়া হয়ে গেছে। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠন (WHO) আগের সপ্তাহেই কোভ্যাক্সিন টিকাকে আপৎকালীন ভিত্তিতে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে। ল্যানসেটের রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে কোভ্যাক্সিন টিকার প্রভাব এবং প্রতিক্রিয়া জানার জন্য এর ওপরে কড়া নজরদারির প্রয়োজন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠন এই মাসের শুরুতেই কোভ্যাক্সিন টিকাকে স্বীকৃতি দেওয়ার ফলে, উপকৃত হবে এই টিকা নেওয়া সকল ভারতীয়। এর ফলে বিদেশে যাত্রার ক্ষেত্রে তাদের আর কোনও অসুবিধা হবে না। কোভ্যাক্সিন টিকা নেওয়া সকলেই অন্যান্য দেশে বিনা বাধায় যাতায়াত করতে পারবে। বেশ কয়েকটি দেশ আগেই কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন টিকাকে দিয়েছিল স্বীকৃতি।
এখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠনের স্বীকৃতির পর অন্যান্য দেশগুলোও কোভ্যাক্সিন টিকাকে দিতে পারে স্বীকৃতি। এর ফলে উপকৃত হবে কোভ্যাক্সিন টিকার ডোজ নেওয়া সকল ভারতীয়। ভারতে তৈরি মেড ইন ইন্ডিয়া ভ্যাকসিনের দ্বারা অন্যান্য দেশও হয়েছে উপকৃত। করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে মেড ইন ইন্ডিয়া টিকা কোভ্যাক্সিন এবং কোভিশিল্ড।