জ্যোতির্বিদরা বলে থাকেন যে এই দিনটিতে সূর্য অবস্থান করেন মকর রাশিতে। সেই সঙ্গে শীতকাল শেষ হয়ে যায়, সূচনা হয় গ্রীষ্মকালের। আবার ভারতের লোকবিশ্বাস বলে যে এই দিনটিতেই রাজা ভগীরথ মর্ত্যে গঙ্গাকে নিয়ে এসেছিলেন। সব মিলিয়ে সূর্যের এই উত্তর গতির দিনটি, যা কি না উত্তরায়ণ নামে পরিচিত, তা দেশের নানা প্রান্তে নানা আচার-অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পালিত হয়ে থাকে। গুজরাতে এক্ষেত্রে সবাই মেতে ওঠেন ঘুড়ির উৎসবে। প্রতি বছর রীতিমতো জমজমাট ভাবে পালিত হয় ইন্টারন্যাশনাল কাইট ইভেন্ট।
advertisement
এই বছরে অবশ্য সেই অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে না। গুজরাত সরকার এবং গুজরাত উচ্চ আদালতের নির্দেশে জমায়েত এড়িয়ে ঘুড়ি ওড়াতে হবে কেবল বাড়ির ছাদ থেকেই। কিন্তু তাতেও মানুষের উৎসাহে এতটুকুও ভাটা পড়েনি। খবর বলছে যে ঘুড়ি কিনে গুজরাত তৈরি। আর এক্ষেত্রে ১৪ জানুয়ারি উত্তরায়ণের দিন গুজরাতের আকাশ ছেয়ে যেতে চলেছে করোনা থিমের ঘুড়িতে।
গুজরাতের এক ঘুড়ি ব্যবসায়ী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে চলতি বছরে করোনা থিমের ঘুড়ির বিক্রি সব চেয়ে বেশি। এই সব ঘুড়ির গায়ে লেখা রয়েছে নানা রকমের স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কিত নির্দেশ। এই ঘুড়ি আকাশে ওড়ানোর মাধ্যমেই সবার কাছে গুজরাতের মানুষ সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে চাইছেন। তাঁদের বক্তব্য- যতই প্রতিবন্ধকতা থাক না কেন, জনসচেতনতার লক্ষ্যে এই উত্তরায়ণও প্রতি বছরের মতোই মঙ্গলময় হয়ে উঠবে, সেই আনন্দের রেশ কম হবে না এতটুকুও!