এই পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে কয়েকটি রাজ্যের করোনা সংক্রমনের হার নিয়েও নতুন করে চিন্তায় কেন্দ্র (Corona Highest Positivity Rate in Bengal)। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লভ আগরওয়াল জানিয়েছেন, দেশজুড়ে করোনার সংক্রমণের হারের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ (Corona Highest Positivity Rate in Bengal)। তিনি জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের করোনা সংক্রমণের হার ৩২.১৮ শতাংশ, এর পরেই রয়েছে দিল্লি ২৩.১ শতাংশ, মহারাষ্ট্র ২২.৩৯ এবং উত্তরপ্রদেশ ৪.৪৭ শতাংশ। বিশ্বের চিত্র অনুযায়ী, ১৫৯টি দেশে করোনার দাপট ভয়াবহ ভাবে শুরু হয়েছে। ইউরোপের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ।
advertisement
আরও পড়ুন: ২১১ দিনের রেকর্ড ভাঙল! ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ১,৯৪,৭২০, মৃত্যু মিছিল চলছে...
করোনার দৈনিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও দেশের কয়েকটি রাজ্যের নাম নিয়েছেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সচিব। করোনার বাড়বাড়ন্ত ঘটেছে মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, উত্তরপ্রদেশ, কেরালা এবং গুজরাতে। বিশ্বে এখনও পর্যন্ত ১১৫ জনের করোনার নতুন স্ট্রেন ওমিক্রনের জেরে মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ভারতে একজনের মৃত্যু হয়েছে ওমিক্রনের জেরে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রন অনেক বেশি সংক্রামক। তবে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সংখ্যা অনেকটাই কমেছে।
আরও পড়ুন: সম্পর্ক ভাঙল মালাইকা অরোরা-অর্জুন কাপুরের? অসম্ভব মন খারাপে 'ঘরবন্দি' নায়িকা!
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের পরই করোনা রোগীদের জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। মাঝারি উপসর্গ থাকা করোনা রোগীদের অক্সিজেনের মাত্রার উপর নজর রাখতে হবে। ৩ দিন ৯৩ শতাংশের উপরে থাকলে সেই রোগীকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে। অন্যদিেক, হাল্কা উপসর্গ থাকা রোগীদের ক্ষেত্রে ৭ দিন কোয়ারিন্টিন থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে যদি টানা ৩ দিন কোনও এমারজেন্সি না হয় তবে। নেগেটিভ রিপোর্টের জন্য পরীক্ষার প্রয়োজন নেই।