বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, সেগুলি হল, ১০ এবং ১১ এপ্রিল গোটা দেশে কোভিড মকড্রিল করা হবে। নিয়মিত পর্যালোচনা বৈঠক করবে রাজ্যগুলো। সতর্কতা অবলম্বনের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। ওষুধ ও পরিকাঠামোয় বিশেষ জোর দেওয়া হবে। এদিন সব রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য সচিবেরা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
advertisement
করোনা সতর্কতা এবং বিধি নিষেধগুলি যখন দেশের সাধারণ মানুষ ভুলতে বসেছে, তখন আবার ভয় দেখাচ্ছে করোনা সংক্রমণ। পরিসংখ্যান বলছে গত সাত দিনে তিনগুণ বেড়েছে দেশের সংক্রমণের সংখ্যা। মাত্র একদিনে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মোট ১৩ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। আর যার জেরে নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
বর্তমানে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২৮,৩০৩। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। দিল্লি, গুজরাট, হরিয়ানা, জম্মু, হিমাচল প্রদেশ, আর পাঞ্জাবে একজন করে করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে, কর্নাটক ও রাজস্থানে দুজনের এবং মহারাষ্ট্রে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৬০৫০।
চিন্তা বাড়িয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রক আরও জানিয়েছে, গত বছর ১৬ সেপ্টেম্বরের পরে এই প্রথম একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৬০০০ ছাড়াল। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, কোভিডের চতুর্থ ঢেউ আছড়ে পড়া কেবল সময়ের অপেক্ষা। দিল্লি, মহারাষ্ট্র, গুজরাতে কোভিড রোগীর সংখ্যা হুহু করে বাড়ছে। এই নতুন সংক্রমণের ৩৮.২ শতাংশই করোনার নতুন প্রজাতি, XBB.1.16। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ১২টি দেশে ছড়িয়েছে করোনার এই নতুন প্রজাতি।