সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত সিবিআই টিম ওড়িশার বিভিন্ন জায়গা ও হুগলির ডানকুনি এবং পূর্ব মেদিনীপুরে অভিযান করে। এমনও খবর শোনা যায়। সিবিআই সূত্রে খবর ছিল, ওড়িশার সোরো, কেন্দাপড়া, বাহানাগা বাজারে সিগন্যাল ও রিলে রুমের দায়িত্ব ছিল খড়গপুর ডিভিশনের সিগন্যাল বিভাগের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারের ওপর।
তাঁর উপর দায়িত্ব ছিল বলে জানতে পেরেছে সিবিআই। সোরো থানার করমপুরে ভাড়া থাকতেন তিনি। করমণ্ডল ট্রেন দুর্ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক। তাঁর খোঁজে সোমবার ডানকুনি ও পূর্ব মেদিনীপুরে অভিযান চালায় সিবিআই তদন্তকারী আধিকারিকরা।
advertisement
আরও পড়ুন- বর্ষাতেও তাপপ্রবাহ এই রাজ্যগুলিতে! রয়েছে প্রবল বর্ষণ, শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাসও!
যদিও রেলের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের কোনও কর্মী পলাতক নন।
প্রসঙ্গত, গত ২ জুন বালেশ্বরে কাছে বাহানাগা স্টেশন বাজারের লেভেল ক্রসিংয়ের কাছে আপ করমন্ডল একপ্রেস, লুপ লাইনে থাকা মালগাড়ি , ডাউনে যশবন্তপুর একপ্রেসের মধ্যে ভয়াবহ ট্রেন এক্সিডেন্ট ঘটে।
ঘটনায় ট্রেনের বগি লন্ডভন্ড হয়ে যায়। মোট ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল বলে জানা যায় সরকারি হিসাবে। এছাড়াও বহু মানুষ আহত হন। মৃতদেহ উদ্ধারের পর বাহানাগা হাই স্কুলে ২০০-র বেশি নিথর দেহ রাখা হয়েছিল। পরে মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনার পর সেখানে কিছু দিন ট্রেন চলাচল ব্যাহত ছিল। তার কয়েকদিন পরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এমনকী বাহানাগা স্কুলের প্রাইমারি সেকশন ও প্রেয়ার রুম যেহেতু ব্যবহার হয়েছিল, তাই সেই পার্ট ভেঙে নতুন করে স্কুল তৈরী নির্দেশ দেয় ওড়িশা সরকার।
আরও পড়ুন- হাতখরচের ২ হাজার টাকা দেয়নি বাবা, রাগে বাবার মাথা থেঁতলে খুন করল ছেলে
বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় সিবিআই ঘটনাস্থলে যায় ৬ জুন । স্টেশন-এর ওভারব্রিজে সিবিআই টিম ভিডিওগ্রাফি ও ফোটোগ্রাফি করে । কত ডিস্টেন্স থেকে কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল তার রূপরেখা তৈরীর জন্য।ঘটনাস্থল সরোজমিনে খতিয়ে দেখে সিবিআই।
ARPITA HAZRA