দুর্ঘটনার পর নিকটবর্তী বালাসোর হাসপাতালে প্রায় শতাধিক যাত্রীকে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালজুড়ে কান্নার রোল। ভিড় বাড়ছে আত্মীয়-স্বজনদের। তার মধ্যেই এখনও পর্যন্ত ৪০ জন কে আজ সকালে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে এর জন্য রওনা করা হয়েছে চিকিৎসার জন্য। সূত্রের খবর মোট ৩৪৫ জন কে নিয়ে যাওয়া হবে মেদিনীপুরে। এই ট্রেন দুর্ঘটনার জেরে হাওড়া থেকে দক্ষিণ ভারত যাওয়ার সমস্ত ট্রেন বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ওড়িশাগামী ট্রেনও বাতিল। এর ফলে যাত্রী দুর্ভোগের আশঙ্কাও রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা ! চলছে উদ্ধারকাজ, করমণ্ডল এক্সপ্রেস যেন মৃত্যুপুরী
অনেকে মনে করছেন, একটি মালগাড়ি করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সামনে দিয়ে চলছিল। করমণ্ডল এক্সপ্রেস সোজা গিয়ে ধাক্কা মারে সেই মালগাড়ির পিছনে। এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন মালগাড়ির উপরে উঠে যায়। বেলাইন হয়ে পড়ে এক্সপ্রেস ট্রেনের বেশিরভাগ কামরা৷ উল্টো দিক থেকে আসছিল বেঙ্গালুরু থেকে হাওড়াগামী ট্রেন। লাইনের উপর পড়ে থাকা করমণ্ডল এক্সপ্রেসের উপর দিয়ে চলে যায়।
আরও পড়ুন: পরিযায়ী শ্রমিকে ঠাসা ছিল করমণ্ডল, কাজের খোঁজে অভিশপ্ত ট্রেনে সফর ডেকে আনল বিপদ
আবার অনেকে মনে করছেন প্রথমে বেলাইন হয় বেঙ্গালুরু-হাওড়াগামী এক্সপ্রেস ট্রেন। সেই সময় আপ লাইনে আসছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। হাওড়াগামী ট্রেনের বেলাইন হয়ে যাওয়া কামরার সঙ্গে সংঘর্ষ হয় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের। এতে করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়ে থার্ড লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িতে ধাক্কা মারে। এরপরেই করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন মালগাড়ির উপরে উঠে যায়।
কার্যত ধ্বংস হয়ে যাওয়া করমণ্ডল এক্সপ্রেসে স্নিফার ডগ নিয়ে মৃতদের খোঁজ চলছে এখনও। তবে এই প্রথম দুর্ঘটনায় পড়ল না করমণ্ডল এক্সপ্রেস। অতীতে একাধিকবার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল এই ট্রেন। যে ট্রেনে চেপে পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রচুর মানুষ চিকিৎসার জন্য চেন্নাইয়ে যান। এমনকী বাংলাদেশের বহু মানুষও সেই ট্রেনে করে দক্ষিণ ভারতের শহরে গিয়ে থাকেন। অনেকে আবার কর্মসূত্রে চেন্নাইয়ে যেতে সেই ট্রেন ব্যবহার করে থাকেন। যে ট্রেন আগে হাওড়া থেকে ছাড়ত। বর্তমানে শালিমার থেকে ছাড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস।