প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “অনেক রাজ্যের বাসিন্দা প্রাণ হারিয়েছেন। মনকে বিচলিত করে দেওয়া ঘটনা। যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের সরকার সাহায্য করছে। যাঁরা নিজের পরিজনদের হারিয়েছেন, সরকার তাঁদের প্রিয়জনকে আর ফিরিয়ে দিতে পারবে না। কিন্তু আমরা তাঁদের সঙ্গে আছি। সরকার এই ঘটনা অত্যন্ত গম্ভীর ভাবে দেখছে। সবরকম ভাবে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে দোষী হবে, তাকে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। তাকে ছাড়া হবে না। ওড়িশা সরকার, প্রশাসনিক আধিকারিকদের প্রশংসা করছি। এখানকার বাসিন্দাদের প্রশংসা করছি,ড়িশ তাঁরাও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ভারতীয় রেল উদ্ধারকার্যে সম্পূর্ণ শক্তি ব্যবহার করেছে। আমি আজ দুর্ঘটনাস্থলে ঘুরে দেখেছি। হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে কথা বলেছি।”
advertisement
অন্যদিকে এদিন দুর্ঘটনাস্থল আসেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন তিনি। রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। রেলমন্ত্রীকে পাশে নিয়ে রেলের সমালোচনা করেন মমতা। বলেন, রেলের সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। তিনি আরও বলেন, যাত্রীদের প্রতি রেলের আরও বেশি দায়িত্বশীল হওয়া উচিৎ। মমতা বলেন, এই দুর্ঘটনায় বাংলার বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। এই দুর্ঘটনায় বাংলার যে সব মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের কথাও বলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে বলেন, দরকার হলে রাজ্যের যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের কলকাতায় নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেছেন মমতা। কথা বলেছেন আহতদের সঙ্গে।
আরও পড়ুন, করমণ্ডলের দুর্ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা মমতার, দিলেন বড় প্রতিশ্রুতি
আরও পড়ুন, করমণ্ডল দুর্ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগণার কত জনের প্রাণ কাড়ল? জেলা জুড়ে তীব্র হাহাকার
রেলের তরফ থেকে আগেই জানানো হয়েছে ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্ত হবে। ইতিমধ্যে নিহতদের পরিবার এবং আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণও ঘোষণা করা হয়েছে রেলের তরফে। ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের জন্য ১০ লাখ টাকা, গুরুতর আহতদের জন্য ২ লাখ টাকা এবং অল্প চোটআঘাত প্রাপ্তদের জন্য ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্য সরকারের তরফে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।