আচমকাই বিকট এক শব্দে! তারপরই সব লণ্ডভণ্ড। ট্রেনের কামড়া বেলাইন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের আপ্রাণ চেষ্টা আর কপাল জোরেই কামরার কাঁচ ভেঙে বেরিয়ে আসতে পারেন সুব্রতবাবু-সহ তাঁর স্ত্রী ও শিশু সন্তান। বাইরে বেরিয়ে দেখেন খেলনার মতো এ-দিক ও-দিক ছড়িয়েছিটিয়ে পড়ে রয়েছে রেলের কামরাগুলি। বেরিয়ে এসেছে ট্রেনের যন্ত্রাংশ। টুকরো হয়ে গিয়েছে রেলপথও। কাত হয়ে পড়ে থাকা দুমড়েমুচড়ে যাওয়া রেলের কামরাগুলির ফাঁক দিয়েই উঁকি দিচ্ছে কোনও কোনও যাত্রীর হাত-পা এমনকী দেহও। ভাঙা রেল লাইনে ইতিউতি ছড়িয়ে পড়ে রয়েছে মৃতদেহ আর যাত্রীদের ব্যাগপত্র। চারিদিকে যেন রক্তের বন্যা আর মানুষের আর্তনাদ! ” করমণ্ডল দুর্ঘটনায় সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলেও, সারা জীবন এই ঘটনার আতঙ্ক তাড়িয়ে বেড়াবে” ক্যামেরার সামনে কেঁদে ফেললেন সুব্রতবাবু। জানালন, অসুস্থ ছেলে ও স্ত্রী এখনও আতঙ্কগ্রস্ত।
advertisement
ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল উড়িষ্যা, বাংলা। শোকের আবহ দেশজুড়ে। শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে সাত’টা নাগাদ মর্মান্তিক রেল দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। নিহতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ২৮৮, আহত হয়েছেন প্রায় হাজার জনেরও বেশি। *ঘটনার পর উদ্ধার কাজে হাত লাগায় ভারতীয় সেনা। রেল কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের পাশাপাশি উদ্ধার কার্যে হাত লাগিয়েছে এনডিআরএফ। ভয়াবহ এই ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতদের উদ্ধারের জন্য বায়ু সেনাও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। বায়ুসেনার তরফে এমআই-১৭ হেলিকপ্টার দেওয়া হয়েছে উদ্ধারকাজে গতি আনতে।
