নিউজ ১৮-কে রেলের এক অফিসার জানিয়েছেন, ‘অতিরিক্ত ব্যস্ত রুট যেমন, যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেই রুটে প্রায় ২-৩ মিনিট পর পর ট্রেন চলাচল করে। মাঝে মাঝে কাজের চাপ এমন বেশি থাকে যে, কিছু জিনিস বাদ দিতে হয় চাপে পড়ে। এর পিছনে পুরোটাই দুর্ঘটনা, ইচ্ছাকৃত ভাবে কেউ করেন না এমন।’ তাঁর আরও দাবি, ‘এমন হতে পারে যে পয়েন্ট ঠিক মতো সেট করা হয়নি। বা সিগন্যাল ঠিক ছিল না। বা অন্য কোনও কারণ। কাজের চাপে রক্ষণাবেক্ষণে গাফিলতি ছিল, এমমটাও হতে পারে।’
advertisement
আরও পড়ুন: ক্লাসরুমে থরে থরে লাশ, গড়াচ্ছে রক্তরস! স্কুলে ফিরতে ভয় বাহানাগার পড়ুয়াদের
ওই রেল অফিসারের আরও দাবি, ‘কখনও কখনও কর্মীরা এতটাই কাজের চাপে থাকেন যে তাঁদের ভুল হয়। আমাদের সবার ভুল হয়। এটা অবশ্যই অপরাধ কিন্তু একেবারেই ইচ্ছাকৃত নয়। আমি বলব না অন্তর্ঘাত, কিন্তু মানুষের তো কাজে ভুল হয়। এবং তা একেবারেই অনিচ্ছাকৃত। সিস্টেম খুবই স্মার্ট ও সংবেদনশীল। এখানে অন্তর্ঘাত খুব ভারী শব্দ। অনেক সময় সিগন্যালও ফেল করতে পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রে সিগন্যাল লাল থাকার কথা।’
আরও পড়ুন: ঘণ্টায় ১২৮ কিমি গতিবেগে লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস, কিন্তু কেন? বিরাট রহস্য
জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার ভুল লাইনে ঢুকে পড়েছিল আপ ১২৮৪১ শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এর জেরেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। জানা যায়, বাহানগা বাজার স্টেশন অতিক্রম করার পর লুপ লাইনে ঢুকে পড়েছিল চেন্নাইগামী এক্সপ্রেস ট্রেনটি। ঘটনার জেরে ২৭৫ জনের মৃ্ত্যু হয়েছে, কত মানুষ আহত তার কোনও হিসেব নেই।