বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় মূলত দুটি জিনিস বোঝার চেষ্টা করছে সিবিআই৷ প্রথমত, কোনও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মনোভাব নিয়ে কেউ যন্ত্রপাতিতে ইচ্ছাকৃত ভাবে অনিষ্টসাধন বা অন্তর্ঘাত (sabotage) করেছিল কি না। দ্বিতীয়ত, যদি অন্তর্ঘাতের কোনও বিষয় না খুঁজে পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে ঘটনার পিছনে প্রযুক্তি গত কোনও ত্রুটি ছিল কি না তা খুঁজে দেখবেন গোয়েন্দারা।
advertisement
যদি কোনও গাফিলতি থেকে থাকে, তাহলে তা কেন হল? তার জন্য কে বা কারা দায়ী? কাদের উপর সেই দায়িত্ব ছিল, তা খুঁজে বের করাও সিবিআইয়ের কাজ। প্রাথমিক তদন্তের পরে crs (কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি)-এর রিপোর্ট খতিয়ে দেখবে সিবিআই। কারণ, crs-এর রিপোর্ট ও সিবিআইয়ের প্রাথমিক রিপোর্টে কোথায় কোথায় মিল বা অমিল রয়েছে সেটা যাচাই করাই এক্ষেত্রে মূল লক্ষ্য। এছাড়া, ঘটনার দিন কর্তব্যে থাকা আহত ট্রেন চালক, গার্ড, স্টাফদেরও বয়ান রেকর্ড করবে সিবিআই।
গত বৃহস্পতিবার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে আসে সিবিআইয়ের একটি দল। স্টেশনের ওভারব্রিজে cbi-এর টিম ভিডিওগ্রাফি ও ফোটোগ্রাফি করে। কত দূর থেকে কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল তার রূপরেখা তৈরির জন্য এই ভিডিওগ্রাফি করা হয় বলে সূত্রের খবর।
এছাড়া, ঘটনাস্থল সরোজমিনে খতিয়ে দেখে সিবিআইয়ের দল। অ্যসিস্ট্যান্ট স্টেশন মাস্টার নিয়ে খতিয়ে দেখে রিলে রুম। এই স্টেশন মাস্টারই দুর্ঘটনার দিন মর্নিং শিফটে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: অসহ্য পচা গন্ধে মরা ইঁদুরের খোঁজ শুরু করেছিল ফ্ল্যাটের লোকেরা, তারপরেই যা সামনে এল… বীভৎস!
এরপরে সিবিআইয়ের দল যায় প্যানেল রুমেও। সেখানকার রেল আধিকারিকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সিগন্যাল গ্রিন হলেও লুপ লাইনে কেন ঢুকেছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস? স্টেশন মাস্টার ও অ্যাসিস্ট্যান্ট স্টেশন মাস্টারের কী ভূমিকা এক্ষেত্রে থাকতে পারে তা নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই।