হিসেব করলে দাঁড়ায়, বছরে গড়ে ২৬ হাজার, প্রতি দিন গড়ে ৭২ জন রেল দুর্ঘটনার বলি হন। দেশের অপরাধমূলক তথ্য সংগ্রহ করার কাজ করে কেন্দ্রীয় সংস্থা এই এনসিআরবি (NCRB)। যদিও উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই রেল দুর্ঘটনার বেশিরভাগই মুখোমুখি সংঘর্ষ বা ট্রেনের লাইনচ্যুতি নয়। বেশিরভাগই হয় চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যান বা রেলে কাটা পড়ে মৃত্যু হয়। ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের ৭০ শতাংশ রেল দুর্ঘটনায় মৃত্যু এভাবেই হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: বেড়েই চলেছে মৃত্যুমিছিল! করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯৪
ওড়িশার বালাসোরে ট্রেন দুর্ঘটনার পরই ঘটনাস্থলে যান প্রধানমন্ত্রী মোদি, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সেখানে দুর্ঘটনাগ্রস্থ গোটা চত্বর ঘুরে দেখেন তাঁরা। কথা বলেন প্রশানসনিক এবং রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে। এরপরেই হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গেও দেখা করা হয়। ওড়িশার বালাসোরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার জন্য রেলওয়ে একটি উচ্চ-পর্যায়ের তদন্ত শুরু করেছে। এই তদন্তের নেতৃত্বে থাকবে রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশনার, দক্ষিণ-পূর্ব সার্কেল।
আরও পড়ুন: ‘দোষীকে ছাড়া হবে না, কড়া শাস্তি হবে!’ দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি
রেল মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, আহতদের মধ্যে বেশিরভাগ যাত্রী বাড়ি পৌঁছেছেন। তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করাই এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এরই মধ্যে রেল মন্ত্রীর ইস্তফা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। রেল মন্ত্রী জবাবে বলেন, এটা রাজনীতির সময় নয়। ভারতীয় রেলের যাত্রীনির্বাহী ডিরেক্টর অমিতাভ শর্মা সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, ‘দুটি যাত্রীবাহী ট্রেন দুর্ঘটনায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেয় অন্যদিকে একটি তৃতীয় ট্রেন, যেটি ঘটনাস্থলে দাঁড়ানো ছিল ও একটি পণ্যবাহী ট্রেন দুর্ঘটনায় জড়িত ছিল।’