সম্প্রতি বাহানাগা বাজার স্টেশনে সরেজমিনে তদন্ত সারলেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা৷ বাহানাগা বাজার স্টেশনের রিলে রুমের ডাবল লক খুলে অবশেষে দুর্ঘটনার দিনের ডেটা সংগ্রহ করলেন তদন্তকারীরা। ঘটনার দিন বাহানাগা বাজার স্টেশনের রিলে রুম ডাবল লক করাই ছিল। তবে, সেখানে কে ঢুকছেন বা কে বেরচ্ছেন, বা কোন সময় ঢোকা-বেরনো চলছে, তা জানার উপায় নেই৷ কারণ স্টেশন চত্বরে নেই কোনও সিসি ক্যামেরা৷ রয়েছে শুধুমাত্র লগ বুক। যার উপরে ভরসা করেই তদন্তকারীদের জানতে হবে, রিলে রুমে সেই সময় কে ঢুকেছিলেন, কে বেরিয়েছিলেন?
advertisement
আরও পড়ুন: বাড়ল রাজ্যের ‘অস্বস্তি’! নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে ‘বড়’ প্রশ্ন তুলল আদালত, রইল আপডেট
এদিন সিবিআই আধিকারিকরা বাহানাগা বাজার স্টেশনের সুপারিনইন্ডেন্ট প্রদীপ পান্ডাকে সঙ্গে নিয়েই প্রবেশ করেন রিলে রুমে। সংগ্রহ করেন ডেটা। আর গোটা বিষয়টি অন ক্যামেরা রেকর্ড করা রাখা হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে অধিকাংশ রেল ট্র্যাকে, সিগন্যাল এবং পয়েন্ট পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত। অর্থাৎ, সেক্ষেত্রে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সিগন্যাল মেন লাইনে থাকলে, পয়েন্টও মেন লাইনেই থাকার কথা। কিন্তু, সেদিন সিগন্যাল একদিকে আর পয়েন্ট আর এক দিকে হল কী করে?
রেল-বিশেষজ্ঞদের মতে, এই দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে গেলে রিলে রুমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রিলে রুম থেকেই সিগন্যাল এবং পয়েন্টের সমন্বয় বিচ্ছিন্ন করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে, সিগন্যাল এবং পয়েন্ট আলাদাভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। তাই করমণ্ডল-কাণ্ডের রহস্যের চাবি কি লুকিয়ে রিলে রুমেই?
আরও পড়ুন: কয়লা কাণ্ডে হাজিরা রুজিরার! কোন কোন বিষয়ে অভিষেকের স্ত্রীকে প্রশ্ন? তৈরি ইডির প্রশ্নপত্র
এদিন রিলে রুম থেকে যে ডেটা উদ্ধার হয়েছে, তা খতিয়ে দেখবে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাব। সেই রিপোর্টের উপরে ভিত্তি করেই বোঝা যাবে এই দুরর্ঘটনার পিছনে কোনও অন্তর্ঘাত ছিল, নাকি সিস্টেমের দোষেই ঘটে গেল এত বড় দূর্ঘটনা।
গত ২ জুন ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে ডাউন করমণ্ডল এক্সপ্রেস, একটি মালগাড়ি এবং বেঙ্গালুরু হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার মুখে পড়ে৷ দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা ১০০০ ছাড়়িয়েছে৷