সংসদে গত বুধবারের স্মোক অ্যাটাকের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে বৃহস্পতিবারই রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন৷ তাঁকে সাসপেন্ড করেন উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়৷ অভিযোগ, সাসপেনশনের কথা ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পরেও অধিবেশন কক্ষ থেকে বের হননি ডেরেক৷ অবশেষে বেরিয়ে যান ক্ষুব্ধ উপরাষ্ট্রপতি৷ সব মিলিয়ে সংসদে স্মোক অ্যাটাক নিয়ে সেদিন হুলস্থূল হয় অধিবেশন৷
advertisement
আরও পড়ুন:‘প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করব’, দিল্লিতে যাওয়ার আগে জানিয়ে গেলেন মমতা! বিকেলেই রাজধানীতে
সূত্রের খবর, ঘটনার তিন দিন পরে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের সাসপেনশন প্রত্যাহার করার আর্জি জানিয়ে চেয়ারম্যানকে চিঠি দিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে৷ চিঠিতে, মল্লিকার্জুন জানিয়েছে, তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েনের সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হোক৷ কারণ, ১৩ ডিসেম্বর সংসদে যে ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে ইন্ডিয়া জোটের হয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বয়ান দাবি করছিলেন তিনি৷ যা, যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত বলে মনে করেন খাড়্গে৷ চিঠিতে খাড়্গের দাবি, এমন ঘটনা সংসদের ঐতিহ্যের পরিপন্থী৷ তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (অমিত শাহ) সংসদ ববনের বাইরে অন্যান্য অনুষ্ঠানে এ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে কথা বললেও, সংসদে দাঁড়িয়ে কোনও বিবৃতি দেননি৷
শুধু ডেরেক ও’ব্রায়েনই নন, এর আগে তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ হওয়া নিয়েও তাঁর পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছিল কংগ্রেসকে৷ এমনকি, ঘটনার দিন মহুয়া যখন সংসদ চত্বরে গান্ধিমূর্তির পাদদেশে সাংবাদিকদের সামনে বিবৃতি দিচ্ছেন, সেই সময় ঠিক তাঁর পিছনেই দাঁড়িয়েছিলেন সনিয়া গান্ধি৷ উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধিও৷ এমনকি, যে অধীর চৌধুরী নেতৃত্বের অবস্থানকে গ্রাহ্য না করেই একাধিক বার তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে থাকেন, সেই অধীর চৌধুরীকেও দেখা গিয়েছিল মহুয়া মৈত্রের পাশে দাঁড়াতে৷