যদিও গেহলটের মুখ্যমন্ত্রী পদ আঁকড়ে থাকার উচ্চাকাঙ্খা আর পাইলটকে কোণঠাসা করার কৌশল কংগ্রেস নেতৃত্বের পরিকল্পনা ভেস্তে গিয়েছে৷ সচিন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানোর বিরোধিতা করে ইস্তফা দিয়েছেন গেহলটের অনুগামী ৮০ জনের বিধায়ক৷ যে বিদ্রোহের পিছনে আসলে গেহলটই কলকাঠি নেড়েছেন বলে মনে করছে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব৷
দলের দুই পর্যবেক্ষক অজয় মাকেন এবং মল্লিকার্জুন খার্গের থেকে প্রাথমিক ভাবে যে রিপোর্ট হাইকম্যান্ড পেয়েছে, তাতে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী গেহলটের উপরে যারপরনাই ক্ষুব্ধ গান্ধি পরিবার সহ অন্যান্য নেতারা৷ পরিস্থিতি যেদিকে গড়াচ্ছে, তাতে গেহলটের কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার স্বপ্নেও কার্যত জল পড়ে গিয়েছে মনে করা হচ্ছে৷
advertisement
আরও পড়ুন: শশী থারুরের পক্ষে বিজেপি-সহ পাঁচ দল! গণস্বাক্ষর করে চিঠি পৌঁছল স্পিকারের কাছে
কারণ সভাপতি হয়ে নানা সমস্যায় জর্জরিত কংগ্রেসকে ঐক্যবদ্ধ করাই ছিল গেহলটের প্রথম দায়িত্ব৷ সেখানে তাঁর নেতৃত্বেই রাজস্থানে দলের নেতাদের বিদ্রোহকে একেবারেই ভাল ভাবে নিচ্ছেন না কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব৷ হবু সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে বলতে গিয়ে দিন কয়েক আগে কোচিতে রাহুল গান্ধিও বলেছিলেন, কংগ্রেসকে ঐক্যবদ্ধ করাই নতুন সভাপতির গুরুত্বপূ্র্ণ দায়িত্ব হতে চলেছে৷
গেহলট শিবিরের পাল্টা দাবি, তিনি যে দলের সভাপতি পদে মনোনয়ন দেবেন, সেই বিষয়ে দলের বিধায়কদের সম্মতিই নেওয়া হয়নি৷ এই টানাপোড়েনের মধ্যে সভাপতি পদে গেহলট আদৌ কতটা যোগ্য, কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব সামনে সেই প্রশ্নও উঠে এসেছে৷
আরও পড়ুন: প্রাপ্তি শূন্য, গোয়ার ভোটে খরচের নিরিখে সবার আগে তৃণমূল! ধারে কাছে নেই অন্য কোনও দল
এই অবস্থায় কংগ্রেস নেতৃত্ব এখন চাইছে, কমল নাথ, ভূপিন্দর সিং হুডা, সচিন পাইলট, দিগ্বিজয় সিং-এর মতো নেতারাও সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দিন৷ এ প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল, গেহলট সভাপতি পদে বসুন, কংগ্রেসের একাংশই তা চাইছিলেন না৷ তারাই এখন আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে৷
আবার গান্ধি পরিবারের আস্থাভাজনদের দাবি, এই ঘটনাই প্রমাণ করে দিয়েছে দলের শীর্ষ পদে গান্ধি পরিবারের কেউ না বসলে দলের পরিণতিও এমনই হবে৷ এই পরিস্থিতিতে ফের রাহুল গান্ধির নাম সভাপতির পদে ভেসে উঠেছে৷ কারণ রাহুলকে নিয়ে দলের মধ্যে বিরোধিতার কোনও সম্ভাবনা নেই৷ এই পরিস্থিতিতে আজই জয়পুরে অশোক গেহলট এবং সচিন পাইলটকে নিয়ে আলোচনায় বসবেন সনিয়া গান্ধির দুই দূত অজয় মাকেন এবং মল্লিকার্জুন খার্গে৷