অশোক গেহলট এবং সচিন পাইলটের মধ্যে রাজস্থানে ঠান্ডা লড়াই কংগ্রেসের কাছে পুরোন মাথাব্যথার কারণ৷ সাম্প্রতিক অতীতেও প্রবীণ এবং তরুণ দুই নেতার সংঘাত এমন পর্যায় পৌঁছেছে যে রাহুল গান্ধিকে পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে৷ কোনওক্রমে সচিন পাইলটকে বুঝিয়ে দলে রাখতে সক্ষম হয় কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব৷
এবারের বিধানসভা নির্বাচনে শাসক বিরোধী হাওয়াই অশোক গেহলট সরকারের সবথেকে বড় দুশ্চিন্তার কারণ৷ ক্ষমতা ধরে রাখতে গৃহ লক্ষ্মীর মতো জনমুখী প্রকল্পকেই অস্ত্র করেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী৷ কিন্তু তাঁর মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য এবং কংগ্রেসের বেশ কিছু বিধায়কের বিরুদ্ধে আমজনতার মনে যে ক্ষোভ জমে আছে, সেটাই কংগ্রেসের কাছে মাথাব্যথার কারণ৷
advertisement
রাজস্থানের জামওয়রামগড় কেন্দ্রের প্রার্থী এবং বর্তমান বিধায়ক গোপাল লাল মীনা যেমন রাজস্থানের কংগ্রেস সভাপতিকে চিঠি দিয়েই সচিন পাইলটকে তাঁর হয়ে প্রচারে পাঠানোর জন্য দাবি জানিয়েছেন৷ ওই বিধায়ক যুক্তি দিয়েছেন, সচিন পাইলট প্রচারে গেলে তাঁর কেন্দ্রে শাসক বিরোধী হাওয়া কমবে৷ পাশাপাশি, তরুণ প্রজন্মের সমর্থন আদায়েও সুবিধা হবে৷
আরও পড়ুন: অনুব্রত মণ্ডলের আসন ‘ফাঁকা’…? ‘বিরাট’ সিদ্ধান্ত তৃণমূলের, তোলপাড় পড়ে গেল বাংলায়
উল্টো দিকে, গেহলটের বড় সুবিধা হল মহিলা ভোটের অনেকটাই তাঁর অনুকূলে রয়েছে৷ গোপাল লাল মীনা নামে ওই বিধায়ক আরও দাবি করেছেন, গেহলট এবং পাইলটকে একসঙ্গে প্রচারে নামানো উচিত৷ দু জনকে দিয়ে তাঁর কেন্দ্রে রোড শো করানোর প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি৷ গোপাল লাল মীনার দাবি, দুই নেতাকে দিয়ে যৌথ প্রচার করানো গেলে বিজেপি-র হাতে আক্রমণের কোনও অস্ত্র থাকবে না৷
এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র প্রিয়াঙ্কা গাঁধি অথবা রাহুল গাঁধি প্রচারে এলেই অশোক গেহলট এবং সচিন পাইলটকে একসঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে দেখা গিয়েছে৷ এক্ষেত্রে অনেকেই কর্ণাটকের উদাহরণ দিচ্ছেন৷ সেখানে একই রকম ভাবে সিদ্দারামাইয়া এবং ডি কে শিবকুমারের মধ্যে সংঘাত থাকলেও ভোটের আগে দুই নেতাকে বুঝিয়ে একসঙ্গে প্রচারে নামিয়েছিল কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ ফলে দল যে ঐক্যবদ্ধ, সই ছবি তুলে ধরা গিয়েছিল৷ রাজস্থানেও এখন সেটা করে দেখানোই কংগ্রেস নেতৃত্বের কাছে চ্যালেঞ্জ৷