প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে৷ তিনি বলেন, ‘গোয়েন্দা ব্যর্থতা তো ছিলই৷ কেন্দ্রীয় সরকার তা স্বীকারও করেছে এবং সেই ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি আটকানোও কেন্দ্রের দায়িত্ব৷ আগে থেকে যদি কেন্দ্রের কাছে হামলার খবর থেকে থাকে, তাহলে তারা ব্যবস্থা নিল না কেন? আমার কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, পহেলগাঁও হামলার তিন দিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে একটি গোয়েন্দা রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল৷ তার পরেই তিনি কাশ্মীর সফর বাতিল করেন৷ একটি সংবাদপত্রে আমি এই খবর পড়েছি৷ এই খবর যদি সত্যি হয় তাহলে কেন নিরাপত্তা বাহিনী, স্থানীয় পুলিশকে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হল না?’
advertisement
সূত্রের খবর, পহেলগাঁও হামলার পর ডাকা সর্বদল বৈঠকেই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে গোয়েন্দা ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়৷ সরকার দাবি করে, বৈসরন উপত্যকার ওই পর্যটনকেন্দ্র যে খুলে দেওয়া হয়েছে, সেই খবর নিরাপত্তা এজেন্সিগুলিকে স্থানীয় প্রশাসন জানায়নি৷ সাধারণ জুন মাসে অমরনাথ যাত্রা শুরুর আগে পর্যন্ত বৈসরন উপত্যকা বন্ধ থাকে বলেই বিরোধী দলের নেতাদের প্রশ্নের জবাবে দাবি করে কেন্দ্র৷
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শীর্ষ আধিকারিককে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই-ও দাবি করে, পহেলগাঁও হামলার কয়েকদিন আগেই কাশ্মীরে পর্যটকদের জঙ্গিরা নিশানা করতে পারে বলে গোয়েন্দা রিপোর্টে সতর্ক করা হয়েছিল৷ বিশেষত শ্রীনগর সংলগ্ন এলাকা এবং জবরওয়ানের হোটেলগুলিতে থাকা পর্যটকরদের উপরে জঙ্গি হামলা হতে পারে বলে ওই সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে৷
এই সূত্র ধরেই দাবি করা হয়, গতমাসে প্রধানমন্ত্রীর কাশ্মীর সফরের সময়ই এই হামলা চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছিল জঙ্গিরা৷ যাতে শ্রীনগর এবং কাটরার মধ্যে প্রথম ট্রেনের উদ্বোধন অনুষ্ঠান বানচাল করা যায়৷ যদিও সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই দাবি করে, দুর্যোপূর্ণ আবহাওয়ার পূর্বাভাস থাকার কারণেই ১৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর কাশ্মীর সফর বাতিল করা হয়৷
যদিও কংগ্রেস সভাপতির এই অভিযোগের জবাব দিয়েছে বিজেপি৷ দলের মুখপাত্র প্রদীপ ভান্ডারি বলেন, কংগ্রেস পহেলগাঁও কাণ্ড নিয়ে যা অবস্থান নিচ্ছে সেটা পাকিস্তানের পছন্দ৷
পহেলগাঁও হামলার প্রত্যাঘাতের জল্পনার মধ্যেই বুধবার দেশ জুড়ে যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রস্তুতি হিসেবে মহড়া আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক৷ ভারত পাক সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যে এই মহড়ার নির্দেশকে পাকিস্তানের উপরে প্রত্যাঘাতের প্রস্তুতি হিসেবেই মনে করা হচ্ছে৷ এই পরিস্থিতিতে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে মল্লিকার্জুন খাড়গের অভিযোগ বিষয়টিতে অন্য মাত্রা যোগ করল৷