প্রতিটি রেল দুর্ঘটনার পরে রেলের সুরক্ষা পরিকাঠামোর দুরবস্থা নিয়ে শোরগোল ওঠে। দ্রুত মেরামত ও সংস্কার করার কথা জানায় সরকার। তার পর আবার একই কারণে একই ধরনের দুর্ঘটনা এবং প্রাণ হারানোর ঘটনা ঘটে। রেল বিষয়ক স্থায়ী সংসদীয় কমিটিও তাহার দ্বাদশ রিপোর্টে (২০১৬-১৭) রেলকর্মীদের গাফিলতি, দুর্বল রক্ষণাবেক্ষণ, চটজলদি কাজ এবং সুরক্ষাবিধির অবজ্ঞার প্রতিবিধানে ব্যবস্থা করবার সুপারিশ করেছিল। তার পরেও কোনওটি কার্যকর হয়েছে কি? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে।
advertisement
রেল দুর্ঘটনা এড়াতে সাম্প্রতিককালে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে রেল মন্ত্রকের তরফে। সিগন্যালিং সিস্টেম থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।এই দুর্ঘটনায় দেখা যাচ্ছে, ট্রেনের বগিগুলো খেলনা গাড়ির মতো একে অপরের ওপর উঠে পড়েছে। এখনও পর্যন্ত চা রজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তৎপরতার সঙ্গে চলছে উদ্ধারকাজ। তবে কী কারণে এত বড় একটা দুর্ঘটনা ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। দিনের আলোয় এমন একটি ঘটনার পিছনে যান্ত্রিক কোনও গোলযোগ থেকে থাকতে পারে বলেই প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : ওভারব্রিজে উঠে গেল মালগাড়ির বগি! ওড়িশায় লন্ডভন্ড গোটা স্টেশন
এই ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রেল মন্ত্রক-
১. রেল লাইনে সমস্যা: রেল লাইনে ফাটল থাকার কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রশ্ন উঠছে রেল লাইন কি ঠিকমত রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়নি?
২. ট্রেনের গতিবেগ: ট্রেন যদি উচ্চগতিতে চলে, আর ব্রেক কষা হয়, সে ক্ষেত্রে এই ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে। অনুমান করা হচ্ছে, স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেশি ছিল ট্রেনের গতি।
আরও পড়ুন : বিদেশী যাত্রীদের ভারতে প্রবেশের নিয়ম বদল, করতে হবে না কোভিড টিকার ফর্ম পূরণ
৩. সিগন্যালিং সমস্যা: দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হতে পারে সিগন্যালিং সমস্যা।
৪. চালকের গাফিলতি: চালকের কোনও ভুলের কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
৫. ওয়াগনগুলিতে কোনও সমস্যা ছিল কিনা তাও দেখা হচ্ছে।