মধ্যপ্রদেশের বন দফতর (Madhya Forest Department) সূত্রে জানানো হয়েছে শনিবার বিকেলে মৃত্যু হয়েছে কলারওয়ালির৷ বাঘিনির মৃত্যু সংবাদ জানানো ছাড়া আর কোনও তথ্য সংবাদসংস্থার কাছে ভাঙেননি প্রিন্সিপাল চিফ কনজারভেটর অফ ফরেস্টস (ওয়াইল্ডলাইফ)৷ সম্প্রতি বয়সের জন্য বাঘিনিটিকে খুবই দুর্বল লাগত দেখতে৷ মৃত্যুর আগের দিন, ১৪ জানুয়ারি তাকে শেষ বার দেখতে পান পেঞ্চে আসা পর্যটকরা৷ বাঘ বিশেষজ্ঞদের মতে, বাঘের গড় আয়ু ১২ বছর৷ টি-১৫-র গলায় পরানো প্রথম রেডিও কলার ২০১০ সালে বিকল হয়ে পড়ে৷ সে বছরই তার গলায় দ্বিতীয় রেডিও কলার পরানো হয়৷ ‘কলারওয়ালি’ পরিচয় তার সঙ্গে থেকে গিয়েছে আমৃত্যু৷
advertisement
২০০৮ সালে কলারওয়ালি প্রথম বার তিনটি শাবকের জন্ম দেয়৷ কিন্তু তারা বাঁচেনি৷ ২০১৮-র ডিসেম্বরে শেষ বার সে সন্তান প্রসব করে৷ তখনই জন্ম হয় তার ২৯ তম শাবকের৷ বন দফতরের আধিকারিকদের মতে, এটা কোনও বাঘিনির ক্ষেত্রে রেকর্ড সংখ্যক শাবক হতে পারে৷ ২৯ টি শাবকের মধ্যে ২৫ টি পূ্র্ণবয়স্ক বাঘ বা বঘিনি হয়েছিল পরবর্তীতে৷
আরও পড়ুন : কী ভাবে প্রজাতন্ত্র দিবসের ট্যাবলো নির্বাচন করা হয়
কলারওয়ালির মায়ের নাম টি-৭৷ ২০০৫ সালে চারটি শাবকের জন্ম দেয় এই টি-৭৷ তাদের মধ্যে একটি পরে পরিচিত হয় ‘কলারওয়ালি’ নামে৷ একবারে একসঙ্গে সর্বোচ্চ পাঁচটি শাবকের জন্ম দিয়েছে এই বাঘিনি৷ ২০১০-এর অক্টোবরে চারটি বঘিনি ও একটি বাঘ প্রসব করেছিল কলারওয়ালি৷
আরও পড়ুন : এবার টিকা পাবে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সিরা, কবে থেকে শুরু?
রবিবার মধ্যপ্রদেশ বনদফতর মৃত বাঘিনির শেষকৃত্য সম্পন্ন করে পেঞ্চ জাতীয় ব্যাঘ্র উদ্যানে৷ জেলা প্রশাসন ও বন দফতরের আধিকারিকরা তার শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন৷ আইএফএস প্রবীণ কুমার ট্যুইটারে শেয়ার করেন কলারওয়ালি-র শেষকৃত্যের ছবি৷ মৃত বাঘিনিকে শেষ শ্রদ্ধা জানান গ্রামবাসীরাও৷
বন দফতর তথা পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় বাঘিনি কলারওয়ালির মৃত্যুতে সামাজিক মাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছেন বহু পরিবেশ ও পশুপ্রেমী৷ তাঁদের মধ্যে আছেন সচিন তেন্ডুলকরও৷
বাঘিনির জীবিত ও মৃত অবস্থার ছবি শেয়ার করে সচিন লিখেছেন ‘‘বন্যপ্রাণপ্রেমী ও উৎসাহীরা বুঝবেন এটা কতটা মর্মন্তুদ, যখন একটি রাজকীয় বাঘিনি চিরকালের জন্য নীরব হয়ে যায়৷’’