সোমবার রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এ দিনই জানা যায়, অমিত শাহের ডাকা বৈঠকেও মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। এই দুই প্রশাসনিক বৈঠক নিয়েই রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল। ২৮ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডাকা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিলের বৈঠক হবে ওড়িশার ভুবনেশ্বরে। সীমান্ত সমস্যা ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ৷ বৈঠকে মমতা ছাড়াও থাকবেন বিহার, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীরা। সূত্রে খবর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পাশাপাশি অমিত শাহ নিজে মমতাকে এই বৈঠকে থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানান। এর আগেও, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠকে উপস্থিত থাকতে, কেন্দ্র একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানায়। কিন্তু, মমতা যাননি। তবে, রাজ্য থেকে প্রতিনিধিদের পাঠান। বছর দুয়েক আগে, কলকাতায় কেন্দ্রের এই নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠক করেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেই বৈঠকে অবশ্য মমতা ছিলেন। ফের তিনি ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিলের বৈঠকে। এনআরসি-সিএএ হাওয়ায় মমতার এই বৈঠকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
advertisement
অমিত শাহের ডাকা বৈঠকে মমতার যাওয়ার পিছনে কংগ্রেস-সিপিএম অন্য গন্ধ পাচ্ছে। এদিকে, এ দিনই বেলা বারোটা নাগাদ রাজভবনে যান মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় এক ঘণ্টা রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করেন। সূত্রের খবর, রাজভবনে ঝুলে থাকা এসসি-এসটি বিল, গণপিটুনি রুখতে বিল নিয়ে আলোচনা হয়। সূত্রের এও দাবি, কলকাতা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিক্ষোভের জেরে সমাবর্তনে রাজ্যপালের থাকতে না পারা এবং কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনকে ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্কের প্রসঙ্গও বৈঠকে ওঠে। যদিও, কী কী বিষয়ে আলোচনা, তা রাজভবন ও নবান্ন সরকারিভাবে জানায়নি। বৈঠকে শেষে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ট্যুইট করে বলেন, সন্তোষজনক আলোচনা হয়েছে।