প্রত্যেক বারই অ্যালেন পার্কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্রিসমাস ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এ বারও এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। দু'বছর করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে এবারের পার্ক স্ট্রিটের ক্রিসমাস ফেস্টিভ্যালে আরও বেশি জনসমাগম হবে বলেই মনে করছে প্রশাসনিক মহল। সেই কথা মাথায় রেখে একাধিক প্রস্তুতি ও নেওয়া হচ্ছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
advertisement
শুধু পার্ক স্ট্রিটের অ্যালেন পার্কে নয়,সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজেও বড়দিন পালন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। এদিন অ্যালেন পার্কের অনুষ্ঠান শেষ করেই সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী।বড়দিন পালন অনুষ্ঠানে বরাবরই সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে যান তিনি।এ বারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।অন্যদিকে সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাম্মানিক ডি লিট উপাধি প্রদান করতে চলেছে। তাতে সম্মতিও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নবান্ন সূত্রে খবর বুধবার দুপুরে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকা হয়েছে। ওইদিন শিল্প, শিক্ষা,স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কয়েকটি বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি বুধবার দুপুর তিনটে থেকেও গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে বৈঠকে বিভিন্ন দফতরের সচিবদের উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক বছরই গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যালোচনা বৈঠক করেন। নবান্ন সূত্রে খবর ডিসেম্বরের শেষ দিকে বা জানুয়ারির প্রথম দিকে গঙ্গাসাগর পরিদর্শনে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। দু'বছর করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে এ বার গঙ্গাসাগর মেলায় আরও বেশি জনসমাগম হবে বলেই মনে করছে প্রশাসনিক মহল।
আরও পড়ুন : ২৬৪৮ কোটি বরাদ্দ টাকা খরচ হয়নি কেন? মুখ্যসচিবের জেরার মুখে একাধিক জেলা
ইতিমধ্যেই গঙ্গাসাগর মেলা নির্বিঘ্নে পরিচালনা করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। একাধিক স্বাস্থ্য ক্যাম থেকে শুরু করে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স, হাসপাতালে প্রয়োজনীয় শয্যার ব্যবস্থা-সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ করছে জেলা প্রশাসন। আগামী বুধবার গঙ্গাসাগর মেলার পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে বুধবারের পর থেকেই কলকাতা জুড়ে কার্যত বড়দিনের উৎসব শুরু হয়ে যাচ্ছে।